মানসিক সমস্যার জন্য দায়ী ইন্টারনেট, বলছে ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী

  © সংগৃহীত

বর্তমানে তরুণ শিক্ষার্থীরাই বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই ইন্টারনেট ব্যবহারই ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর মানসিক সমস্যার কারণ। ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ অবসর কাটাতেই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এবং অনেকেই এতে আসক্ত হয়ে পরছেন।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। আজ শনিবার (১০ জুন) ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রভাব: কতটুকু সতর্ক হওয়া জরুরি?’ শীর্ষক সমীক্ষার ফল এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের ১ হাজার ৭৭৩ জন শিক্ষার্থী এই সমীক্ষায় অংশ নেন। এদরে মধ্যে কলেজ পড়ুয়া ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ, স্নাতক পর্যায়ের ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ৮ দশমিক ৪ শতাংশ এবং চাকরিপ্রত্যাশী ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত এ সমীক্ষা চালানো হয়। এতে ১ হাজার ৭৭৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। যার মধ্যে ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ নারী এবং পুরুষ ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের আছেন শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়,  জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৭২ দশমিক ২ শতাংশ জীবনে কখনো না কখনো মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, তাঁদের মানসিক সমস্যার পেছনে ইন্টারনেটের ভূমিকা রয়েছে।

সমীক্ষার তথ্যে বলছে পড়াশোনাবিষয়ক কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী। অবসর কাটাতে ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যোগাযোগে ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ, অনলাইন গেম খেলতে বা ভিডিও দেখতে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ, অনলাইনে কেনাকাটায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ৮ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, বিশেষ করে ১৯-৩০ বছর বয়সী যে তরুণ যুবদের মধ্যে হতাশা, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য সামাজিক-মানসিক অস্থিরতা আগের তুলনায় অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে আত্মহত্যার হারও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট কিছুটা দায়ী বলেও প্রতীয়মান হচ্ছে। 


সর্বশেষ সংবাদ