বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ১৬ টন ওষুধ ও ত্রাণ যাচ্ছে মিয়ানমারে

  © সংগৃহীত

মিয়ানমারে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। দরিদ্র ও যুদ্ধকবলিত দেশটির সামরিক শাসকরা শনিবার কয়েক শ বিদেশি উদ্ধারকর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন।

এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে ১৬ দশমিক ৫ টন ওষুধ, তাঁবু ও ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্ল্যানিং) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আলিমুল আমীন।
 
তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে খাদ্য, পানি ও বাসস্থান সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া জরুরি চিকিৎসার অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশ মর্মাহত।’
 
মিয়ানমার সরকারকে সহায়তার বিষয়ে আলিমুল আমীন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বাংলাদেশ থেকে ত্রাণসামগ্রী এবং উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা সহায়তা দল পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর দুটি পরিবহন বিমানে জরুরি ত্রাণ নিয়ে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে যাচ্ছে।’
 
তিনি জানান, সাড়ে ১৬ টন ত্রাণের মধ্যে রয়েছে শুকনো রেশন, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, তাঁবু, মশারি ও সোলারলাইটসহ জরুরি আরও কয়েক প্রকার জিনিস।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, ‘মিয়ানমারে উদ্ধার অভিযানের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর ২৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান উদ্ধারকারী দল, ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্যের উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসাসেবার জন্য সেনাবাহিনী থেকে ১০ সদস্য এবং বেসামরিক চিকিৎসকদের থেকে ১১ সদস্যের দুটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
 
মিয়ানমার সরকার গ্রহণ করলে এসব টিম পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আলিমুল আমীন।


সর্বশেষ সংবাদ