ইসি কর্মীদের বুধবারের ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি স্থগিত
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৯ PM , আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৪ AM

নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মীরা তাদের ঘোষিত বুধবারের ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন।
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করতে সরকার ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন’ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ‘ন্যাশনাল সিটিজেন ডেটা কমিশন’ নামে একটি স্বতন্ত্র সংস্থা গঠনের সুপারিশ করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে অন্যত্র সরানোর উদ্যোগের প্রতিবাদে ইসি কর্মীরা গত বৃহস্পতিবার ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করেছিলেন।
ইসি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ বাতিল করে এনআইডি কার্যক্রম পুনরায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখলে ১৯ মার্চ বুধবার ‘অপারেশনাল হল্ট’ নামে কর্মবিরতি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, “আমাদের দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট তৎপর। কমিশন সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে এনআইডি নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা উচিত। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। সার্বিক বিবেচনায় এবং সাধারণ মানুষের সেবা বিঘ্নিত না করার স্বার্থে বুধবারের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।”
এদিকে, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, যদি দাবি পূরণের প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়, তবে ভবিষ্যতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ভোটার তালিকা ও এনআইডি একসঙ্গে ইসির অধীনে রাখার বিষয়ে পূর্ববর্তী সংলাপগুলোতে বিভিন্ন অংশীজন ইতিবাচক মত দিয়েছেন। ২০২৩ সালে পাস হওয়া নতুন আইনের মাধ্যমে শুধুমাত্র এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যমান আইন বাতিল করে এনআইডি নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এনআইডি ব্যবস্থাপনাকে তার অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।