৫১৬ পদে রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষার নম্বর বন্টন ও সিলেবাস প্রকাশ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০ PM , আপডেট: ৩০ নভেম্বর -০০০১, ১২:০০ AM

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর ১০ম গ্রেডের ৫১৬ পদের নিয়োগ পরীক্ষা পুনরায় নেবে। উপসহকারী প্রকৌশলীর ১১ ক্যাটাগরির ৫১৬ পদের নিয়োগ পরীক্ষা চলতি বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে। পরীক্ষার সময়সূচি, আসনবিন্যাস, কেন্দ্র এবং অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশাবলি পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
সরকারি কর্ম কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, গত বছরের ৫ জুলাইয়ের পরীক্ষায় যেসব প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন, শুধু সেবস প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। শুধু এমসিকউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে।
মোট ১০০ নম্বরের ১ ঘণ্টার বাছাই পরীক্ষা এবং ১০০ নম্বরের (৩ ঘণ্টার) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা ১১ ক্যাটাগরির সব পদকে ৫টি ক্লাস্টারে ভাগ করে এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ক্লাস্টারগদলো হলো—
ক্লাস্টার A: উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ);
ক্লাস্টার B: উপসহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে/ওয়ার্কস/এস্টেট);
ক্লাস্টার C: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল ড্রয়িং/এস্টিমেটর);
ক্লাস্টার D: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিগন্যাল/টেলিকমিউনিকেশন);
ক্লাস্টার E: উপসহকারী প্রকৌশলী (স্টোর/মেকানিক্যাল/ট্রেন এক্সামিনার/ড্রয়িং/মেরিন/ব্রিজ);
লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস—
বাংলা: ২০, ইংরেজি: ২০, সাধারণ জ্ঞান: ২০, টেকনিক্যাল: ৪০=মোট ১০০ নম্বর;
বাংলা: সারাংশ ৫, পত্র লিখন ৫, বঙ্গানুবাদ ৫ ও ব্যাকরণ ৫=মোট নম্বর ২০;
ইংরেজি: Letter 5, Comprehension 5, Grammar 10= মোট নম্বর ২০;
সাধারণ জ্ঞান: বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৫, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ৫, কম্পিউটার ও আইটি ১০=মোট নম্বর ২০;
টেকনিক্যাল: তাত্ত্বিক ৩টি প্রশ্ন x ৫= ১৫, ব্যবহারিক ৫টি প্রশ্ন x ৫=২৫=মোট নম্বর ৪০;
লিখিত পরীক্ষার (টেকনিক্যাল) সিলেবাস—
ক্লাস্টার A: উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ): ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়গুলো, যা সংশ্লিষ্ট সনদধারীরা অধ্যয়ন করে থাকেন;
ক্লাস্টার B: উপসহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে/ওয়ার্কস/এস্টেট): সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়সমূহ, যা সংশ্লিষ্ট সনদধারীরা অধ্যয়ন করে থাকেন;
ক্লাস্টার C: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল ড্রয়িং/এস্টিমেটর): সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (মূলত Engineering drawing/ Projection-বিষয়ক প্রশ্ন করা হবে);
ক্লাস্টার D: উপসহকারী প্রকৌশলী (সিগন্যাল/টেলিকমিউনিকেশন): বেসিক টেলিকমিউনিকেশনস এর বিষয়সমূহ, যা সংশ্লিষ্ট সনদধারীরা অধ্যয়ন করে থাকেন;
ক্লাস্টার E: উপসহকারী প্রকৌশলী (স্টোর/ [মেকানিক্যাল/ট্রেন এক্সামিনার/ড্রয়িং] /মেরিন/ব্রিজ): এইচএসসি পর্যায়ের বিজ্ঞানের কোর্সগুলো (পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন), যা সংশ্লিষ্ট সনদধারীরা অধ্যয়ন করে থাকেন;
কোনো পরীক্ষার্থী একটি ক্লাস্টারের আওতায় একাধিক পদে আবেদন করলে উক্ত ক্লাস্টারের একটি পরীক্ষাতেই অংশগ্রহণ করবেন। তবে কোনো পরীক্ষার্থী যদি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাস্টারের একাধিক পদে আবেদন করে থাকেন, তবে তাকে সংশ্লিষ্ট সব ক্লাস্টারেই পরীক্ষা দিতে হবে।
রেলওয়ের ১০ম গ্রেডের ১১ ক্যাটাগরির ৫১৬টি উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগের জন্য ২০১৯ ও ২০২৩ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। মোট ১১ ক্যাটাগরির উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ৫১৬ জনকে নিয়োগ দিতে প্রকাশ করা হয়েছিল এ বিজ্ঞপ্তি। এরপর গত বছরের ৫ জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পাঁচ মাস পরে গত বছরের ২ ডিসেম্বর সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) রেলওয়ের ১০ম গ্রেডের ১১ ক্যাটাগরির ৫১৬টি উপসহকারী প্রকৌশলী পদের এমসিকিউ পরীক্ষা বাতিল করে।