লড়াকু বাংলাদেশ বনাম সাহসী আফগান, ইতিহাস বদলানোর সিরিজ শুরু আজ

আফগানিস্তানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে টাইগার বাহিনী
আফগানিস্তানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে টাইগার বাহিনী  © সংগৃহীত

কাগজে-কলমে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান তেমন নেই। তাই লড়াই হবে জবর। মাঠে যারা ভালো করবে, খেলায় তারাই জয়ী হবে। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে টাইগাররা। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) দুদল মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।

ইতিহাস বদলাতে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলতে যাচ্ছে টাইগাররা। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এই সিরিজ দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি শুরু করবে শান্ত বাহিনী।

অবশ্য, সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না শান্তদের। সাদা পোশাকে টানা দু্ই সিরিজে ধবলধোলাই। মাঝে ধবলধোলাই হয়েছে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেও। সেই হতাশা ঝাড়তে টাইগারদের মিশন এবার ওয়ানডে।

আফগানদের একরকম ‘হোম’-এ পরিণত হওয়া শারজায় আয়োজিত এই সিরিজ আবার আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতির অংশও। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টের আগে এরপর আর মাত্র একটিই সিরিজ আছে বাংলাদেশের। সেটি ডিসেম্বরে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে।

বাংলাদেশের যেখানে আত্মবিশ্বাসের অভাব, সেখানে সাহসী আফগানরা। গত সেপ্টেম্বরে যেই শারজাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিতে আফগানিস্তান, সেখানেই এবার সাজিয়ে টাইগার বধের পরিকল্পনা।

মাঠের ক্রিকেটে যেমন আত্মবিশ্বাসের কমতি, তেমনি বাংলাদেশের জন্য কঠিন আরো এই মাঠটাও। আফগানদের হাতের তালুর মতো চেনা শারজার এই মাঠ। সেখানে কি না বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলতে নামছে প্রায় ২৯ বছর পর!

১৯৯৫ সালের এশিয়া কাপে শারজায় সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিল টাইগাররা। সব মিলিয়ে আইকনিক এই স্টেডিয়ামে ওয়ানডে খেলেছে মাত্র চারটি। তবে আসল কথা হলো, এখনো কোনো ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। এবার নিশ্চয়ই বদলাতে চাইনে সেই পরিসংখ্যান।

প্রায় আড়াই যুগ ওয়ানডে খেলা না হলেও মাঝে এই মাঠে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে দলটি। তবে সুখকর নয় সেই অভিজ্ঞতাও, ২০২২ সালের এশিয়া কাপে এখানে খেলা শেষ ম্যাচে এই আফগানদের কাছেই হেরেছিল বাংলাদেশ!

এদিকে নতুন কোচ ফিল সিমন্সের অধীনে বাংলাদেশের প্রথম সফর এটি, প্রথম ওয়ানডে ম্যাচও তার সময়ে। যদিও ইতোমধ্যে ঘরের মাঠে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। সিমন্সের তাই নিজেকে প্রমাণেরও সুযোগ এটি।

অবশ্য পরিসংখ্যান কথা বলছে বাংলাদেশের পক্ষেই।ওয়ানডেতে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে ১৬ ম্যাচে। যেখানে জয়ের পাল্লা ভারী শান্তদের পক্ষে। ১০ ম্যাচে শেষ হাসি টাইগারদের।

যদিও গত বছরের জুলাইয়ে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানের কাছে হেরে বসে ছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হার বরণ করে টাইগাররা। যা শান্ত-লিটনদের জন্য ছিল বড় ধাক্কা।

এদিকে, চলতি বছরে তিনটি দ্বিপক্ষীয় তিনটি ওয়ানডে সিরিজ খেলে দু’টিতে জয় পেয়েছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কা সফরে হারলেও আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতে নেয় আফগানরা।

অন্যদিকে এই বছর মাত্র একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। গত মার্চে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে তিন ম্যাচের সিরিজ ১-২ ব্যবধানে হেরে যায় টাইগাররা। এখন দেখার বিষয় শারজায় নিজেদের ইতিহাস বদলাতে পারে কিনা বাংলাদেশ।


সর্বশেষ সংবাদ