পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাওয়া সংস্কৃতি নয়, শহুরে ফ্যাশন: মিম

বিদ্যা সিনহা মিম
বিদ্যা সিনহা মিম  © সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্রতি বছর মহা ধুমধামে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপিত হয়। বৈশাখী উৎসবে থাকে প্রাণের ছোঁয়া, থাকে উচ্ছ্বাসের বাঁধভাঙা জোয়ার। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতা ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্‌যাপিত হয় বাঙালির নববর্ষ। শিশু-যুবা-বৃদ্ধসহ সব বয়সের সব শ্রেণি মানুষ এ দিনটি উদ্‌যাপন করে। বাংলা নববর্ষ বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রধান উপাদান।

এদিনে বি‌ভিন্ন রক‌মের খাবা‌রের পাশাপা‌শি হ‌রেক কি‌সি‌মের পোশাক প‌রে উৎস‌বে মেতে উঠা চ‌লে আস‌ছে দীর্ঘকাল থে‌কে। তবে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার প্রচালন।

সাম্প্রতি সময়ে বাংলা বর্ষ বরণ মানেই যেনো আহারে ইলিশ ভাজা আর পান্তা ভাত। পান্তা ইলিশের ভোজ না হলে যেন বৈশাখের উদযাপনই ঠিকঠাক হয় না। তবে পহেলা বৈশাখে এই পান্তা-ইলিশ খাওয়া বাঙালি সংস্কৃতির অংশ নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকাই ছবির চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম।

তিনি বলেন,‘বৈশাখে বর্ষবরণে ইলিশ খাওয়া বাঙালি সংস্কৃতির অংশ নয়, এটা স্রেফ শহুরে ফ্যাশন।’

আরও পড়ুন: কলকাতা, তুমি কি দিতে পারবে রমনা বটমূলের স্বাদ, গন্ধ, স্মৃতি?

মিম আরও বলেন, ‘এভাবে বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে ইলিশ ধরার উৎসব চললে নিকট অতীতে হয়তো বাঙালির প্রিয় এ মাছটি হারিয়েও যেতে পারে। আশা করবো পহেলা বৈশাখ পুরো বাঙালি সংস্কৃতির আবহেই পালন করা হোক।’

এদিকে দুই বছরের বিরতির পর আবারও চেনা জায়গায় ফিরলো ছায়ানট। সেই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক আয়োজনে শুরু হলো বর্ষবরণ ১৪২৯।

রাজধানীর রমনার বটমূলে বর্ণাঢ্য এই আয়োজনের শুরু হয় ভোর ঠিক সোয়া ৬টার দিকে। এবারের মূল প্রতিপাদ্য- ‘নব আনন্দে জাগো’। এর ওপর ভিত্তি করে পুরো অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে। শুরুতে ভোরের বিভিন্ন রাগের ওপর বেহালা, সেতার, বাঁশি ও এসরাজসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে বরণের ধ্বনি দেওয়া হয়। যন্ত্রবাদনের পরপরই পরিবেশন করা হয়েছে সম্মিলিত কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত ‘মন, জাগো, মঙ্গল লোকে’। এবারের আয়োজনে মোট ৮৫ জন শিল্পী অংশ নিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ