সুমন-সাবিনা ও সৃজিত-মিথিলাকে নিয়ে কড়া মন্তব্য তসলিমা নাসরিনের

সুমন-সাবিনা, সৃজিত-মিথিলা ও তসলিমা নাসরিন
সুমন-সাবিনা, সৃজিত-মিথিলা ও তসলিমা নাসরিন  © টিডিসি সম্পাদিত

ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বহুল আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ফেসবুক পোস্টে ২০০০ সালের দিকে বিয়ে করা কবীর সুমন ও সাবিনা ইয়াসমিন এবং সাম্প্রতিক সময়ে সৃজিত-মিথিলার সম্পর্কে জড়ানো এবং আলাদা হওয়ার ‍গুঞ্জনের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘টেক্কা’ মুক্তির দিন এ বিষয়ে মন্তব্য করেন এই লেখিকা। দুই বাংলার শিল্পীদের দাম্পত্য দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন তুললেন লেখিকা। তসলিমা সরাসরি কবীর সুমন ও সাবিনা ইয়াসমিনের নাম উল্লেখ করেছেন তাঁর পোস্টে। 

সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে হয়েছিলেন কবীর সুমন। বিয়ে টেকেনি বেশিদিন। বহু বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে সুমন-সাবিনার। সে প্রসঙ্গে সামনে রেখেই তসলিম প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার দাম্পত্য জীবন নিয়ে। তবে কি বিচ্ছেদের পথে তারাও!

সুমন-সাবিনার দাম্পত্য জীবন নিয়ে নানা ভাবে জলঘোলা হয়েছে। এখন সুমন থাকেন কলকাতায়, সাবিনা আছেন নিজের দেশে। এই ঘটনার বহু বছর পর কূটনৈতিক সীমানা ছাড়িয়ে ফের দু’টি মন এক হয়েছিল। ২০১৯ সালে বিয়েও করেছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা। কিন্তু তাঁদের সম্পর্কেও ফাটল ধরেছে এবার? 

সেই প্রশ্ন তুলে তসলিমা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীদের মধ্যে রোমান্টিক বা বৈবাহিক সম্পর্ক কেন টিকছে না? সাবিনা ইয়াসমিন আর কবীর সুমন বিয়ে করলেন। বিরাট হই চই হল। দু’জনে কিছুদিন একসঙ্গে গান গাইলেন। এরপর নিস্তব্ধতা। যে যাঁর মতো যাঁর যাঁর দেশে জীবন যাপন করছেন। সাবিনা আর সুমনের মধ্যে কোনও সম্পর্ক অবশিষ্ট রয়েছে বলে মনে হয় না। এর পর সৃজিত আর মিথিলা বিয়ে করলেন। বিরাট হই চই হল। দু’জনে কিছুদিন একসঙ্গে চলাফেরা করলেন। এরপর নিস্তব্ধতা। যে যাঁর মতো যাঁর যাঁর দেশে জীবন যাপন করছেন। সৃজিত তাঁর ১০/১২টা সাপ নিয়ে, আর মিথিলা তাঁর কন্যা নিয়ে। মিলন থাকলে বিচ্ছেদ থাকে, এ নতুন কিছু নয়।’

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতায় যাতায়াত কমেছে মিথিলার। সৃজিতের কর্মজগত কলকাতা-মুম্বইয়ে। বিয়ের আগে সৃজিত তাঁর কর্মজীবনের জন্য যতটা প্রচারের থাকতেন, প্রেমজীবনের জন্যও ততটা। ২০২৩ সালের পর থেকেই মিথিলার সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব এসেছে বলে জানা যায়। মেয়েকে নিয়ে কখনও নিজের দেশে, কখনও অন্য মহাদেশে থাকেন মিথিলা। শোনা যায়, সৃজিত নাকি প্রায় সাতটি সাপ নিয়ে সংসার করছেন। 

মিথিলা মাঝে একবার কলকাতা সফরে গিয়ে জানিয়েছিলেন, সৃজিত নাকি তাঁর সাপদের নিয়ে বেশ ব্যস্ত। যদিও বিচ্ছেদের জল্পনা প্রতিবারই উড়িয়ে দিয়েছেন। কলকাতা না থাকার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন কর্মব্যস্ততা। এ বার তসলিমার মন্তব্যে যেন ফের জোরালো হল তাঁদের বিচ্ছেদের জল্পনা। দুই দেশে নাগরিকের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী তসলিমা শেষে সংযোজন করেন, ‘দুই দেশের মানুষের মধ্যে হৃদয়ের বন্ধন দৃঢ় হলে অসাম্প্রদায়িকতার নিদর্শন চমৎকার হতে পারতো।’


সর্বশেষ সংবাদ