গানটি শোনার পর শুধু বমি করাই বাকি ছিল: ফাল্গুনী পাঠক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:১৫ PM , আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:১৫ PM
৯০ দশকের ছেলে মেয়েদের আবেগ ফাল্গুনী পাঠক। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই গায়িকার ‘ম্যায়নে পায়েল হ্যায় ছনকাই’। সুপারহিট হয়েছিল গানটি। তাঁর ‘সজনা’ গানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কতশত প্রেমের আখ্যান। সেই গানই এবার রিমিক্স আকারে নিয়ে এসেছেন গায়িকা নেহা কক্কর। নেহার গলায় ওই গান শুনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। একই ক্ষোভ ফাল্গুনীরও। তিনি বলেন, গানটি শোনার পর শুধু বমি করাই বাকি ছিল আমার।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ফাল্গুনী পাঠক বলেন, আমার গান আর ভিডিওটির মধ্যে যে সরলতা ছিল, তার পুরো দফারফা করে দিয়েছে এই গান। ‘গানটি শোনার পর শুধু বমি করাই বাকি ছিল আমার। নেহার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে চাইলেও পারছেন না বলে জানান ফাল্গুনী। তিনি বলেন, ‘যদি সম্ভব হতো হয়তো আইনি পথেই হাঁটতাম। কিন্তু গানের স্বত্ব আমার কাছে নেই। যখন গানটি তৈরি হয়, সে সময় এসবের গুরুত্ব বুঝিনি। এখন আফসোস হচ্ছে।’
সমালোচনার উত্তরে নেহার বক্তব্য, ‘যাঁরা আমার সাফল্য ও সুখ দেখে অখুশি, তাঁদের জন্য কষ্ট হয়। কারণ, সবাই জানে, নেহা কক্কর আসলে কী।’
আরও পড়ুন: ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর আপত্তিকর পর্ব নিয়ে মুখ খুললেন নির্মাতা
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেহা কক্কর ও ফাল্গুনী পাঠকের বিবাদ এখনো কাটেনি। এর মাঝেই এক মঞ্চে দেখা গেল দুজনকে। ইন্ডিয়ান আইডল ১৩-তে একসঙ্গে পারফর্ম করছেন নেহা কক্কর ও ফাল্গুনী পাঠক। সনি টেলিভিশন থেকে একটি নতুন প্রোমো লঞ্চ করা হয়েছে। সেখানেই নবরাত্রি স্পেশাল এপিসোডে নেহা-ফাল্গুনীর একসঙ্গে পারফর্মের কয়েক ঝলক রয়েছে। সেই প্রোমো দেখে বিস্মিত সবাই! এটা কি তাহলে পাবলিসিটি স্টান্ট? কেউ বলছেন, ‘গানকে ফেমাস করতে এরা কত কী করে!’
এর আগেও বহুবার বহু গান রিমেক করেছেন নেহা। ইউটিউবে সেই সব গানের ভিউজ ছাড়িয়েছে মিলিয়নের উপর। কিন্তু তা সত্ত্বেও কটাক্ষ থামেনি। তিনি আখ্যা পেয়েছেন ‘অটোটিউন কুইন’ হিসেবেও।
এই মুহূর্তে এক রিয়ালিটি শো-য়ের বিচারকের আসনে দেখা যাচ্ছে নেহাকে। এর আগেও বহু রিয়ালিটি শো-য়ে বিচারকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। নেহা আবেগপ্রবণ, প্রতিযোগীদের কষ্টের কথা শুনতে শুনতে প্রায়শই তাঁর চোখ ভরে ওঠে জলে। তা নিয়েও হয়েছে ট্রোলি। এ প্রসঙ্গে এর আগে মুখ খুলেছিলেন নেহা। তিনি বলেছিলেন, “যারা ট্রোল করে, তাদের দোষ দিতে পারি না। হতে পারে তাঁরা আবেগপ্রবণ নন। তবে যে সব মানুষ আবেগপ্রবণ হন না, আমার কাছে তাঁরা নিতান্তই ফেক। যারা আমার মতো সংবেদনশীল, আমি জানি তাঁরা আমায় বুঝবেন, কেন আমি কেঁদে ফেলি তাও অনুধাবন করতে পারবেন। আমি দেখেছি বহু মানুষই অন্যের কষ্ট কিছুতেই অনুধাবন করতেই পারেন না। আমার সেই গুণ রয়েছে। আর তাই কেঁদে ফেলা নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই।