অবস্থান কর্মসূচিতে স্প্লিন্টারবিদ্ধ সজল, চান তিন দাবির বাস্তবায়ন

টানা তিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী সজল
টানা তিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী সজল  © টিডিসি ফটো

তিন দাবির বাস্তবায়নে টানা তিনদিন ধররে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্লিন্টারবিদ্ধ শিক্ষার্থী সজল কুন্ডু। তার দাবিগলো বাস্তবায়ন হওয়া পর্যন্ত তিনি এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

তার তিনটি দাবি হলো- শাবিপ্রবিতে পুলিশি হামলার ঘটনার পর সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ওপর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে দেয়া সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাস বাস্তবায়ন ও ‘কেড়ে নেয়া’ এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের ক্যাফেটেরিয়া ফিরিয়ে দেয়া।

এর আগে গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ‍শুরু করেন সজল। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা ৩য় দিনের মতো কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

সজল বলেন, আমি আমার ৩ দফা দাবি নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি। আমি মনে করি আমার দাবিগুলো ন্যায্য এবং যৌক্তিক। এগুলো যেন খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করতে হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে দাঁড়িয়ে সজল কুন্ডু বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক একটা নিপীড়ক প্রশাসক; এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা শোষক। প্রায় ৭ মাস আগে ১৬ জানুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে প্রহার করা হয়, গুলি করা হয় এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। তখন আমি মারাত্মকভাবে আহত হই, আমার শরীরে প্রায় ৮৩টির মতো স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়।

আরও পড়ুন: ‘আমার জীবিকা নির্বাহের শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে’

তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের নামে মামলা করা হয়েছিল। দ্রুত সময়ের মধ্যে সে মামলাগুলো উঠানোর কথা ছিল। কিন্তু মামলাগুলো এখনো উঠানো হয় নাই। 

সজল বলেন, আমার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দুটি দাবি তোলা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের যে প্রতিশ্রুতিগুলো দেয়া হয়েছিল সেগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয় নাই। উপরন্তু আন্দোলনের পূর্ব থেকে আমি যে আইআইসিটির ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্বে ছিলাম আমার সেই রোটিরুজির জায়গা, শেষ সম্বল ক্যাফেটেরিয়াটাও এই প্রতিহিংসা পরায়ণ প্রশাসক আমার কাছ থেকে অন্যায়ভাবে নিয়ে নিয়েছে।

‘‘আমি গুলি খাইলাম, আমি মাইর খাইলাম, আমাকে যেখানে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা ছিল সেগুলো কোনোকিছু দেয়া হলো না।’’

সজল দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ও ন্যায্য আন্দোলনের অংশ হওয়া এবং আন্দোলনের সাথে জড়িত হয়ে যাওয়ার কারণে সম্পূর্ণ প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার কাছ থেকে ক্যাফেটেরিয়া কেড়ে নিয়েছে। তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন হওয়া পর্যন্ত আমি আমার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।


সর্বশেষ সংবাদ