ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে শাবিপ্রবি ছাত্র নিহত— উদ্ধারকারীর বর্ণনা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৮:২৫ AM , আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২, ১১:০৫ AM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ক্যাম্পাসের টিলায় ছুরিকাঘাতে বুলবুল আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীকালুর টিলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বুলবুলের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তিনি শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
নিহত শিক্ষার্থীকে প্রথমে উদ্ধার করে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম জয়। শরিফুল বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ২য় ছাত্রী হলের সামনের টিলায় বাংলা বিভাগের এক ছাত্রী প্রথমে তাকে পরে থাকতে দেখে। ওই পথ দিয়ে আমার এক জুনিয়র ফাহিম গেলে তাকে ওই ছাত্রী জানান এবং সে আমাকে ফোন দিলে এসে তাকে উদ্ধার করি।
‘‘তখনও ছেলেটি বেঁচে ছিল, কিন্তু আমরা যখন তাকে নিয়ে ছাত্রী হলের কাছাকাছি আসছিলাম তখন সে নিস্তেজ হয়ে যায়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নেই, পরে তাকে ওসমানী মেডিকেলে নেওয়া হয়।’’
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার বেলাল মিয়া জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিতে বললে সাথে সাথে আমরা তাকে ওসমানীতে নেই। কিন্তু পরে ইসিজি করে জানা গেল, সে মারা গেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, শিক্ষার্থীর শরীরে স্টেব করার পরে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। প্রথমে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়, সেখানেই তার সেন্স পাওয়া যাচ্ছিল না। সেখান থেকে তাকে সিলেট এমএজি মেডিকেল হাসপাতালে নিলে মৃত পাওয়া যায়। এখন ডাক্তাররা বলতে পারবে সে ঘটনাস্থলে মারা গেছে নাকি আনার পথে মারা গেছে।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে শাবিপ্রবি ছাত্র হত্যা, খুনী অজ্ঞাত
এদিকে, এদিকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মূল ফটকে যান। পরে সেখান থেকে আবার মিছিল নিয়ে ২য় ছাত্রী হল ঘুরে প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান নেন।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা প্রক্টরের কাছে এ ঘটনার জবাবদিহি চাই। একই সঙ্গে এ শিক্ষার্থীর বিষয়ে কি কি ব্যবস্থা নিলেন তা তাদের জানাতে হবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়েও কথা বলেন তারা। পরে রাত প্রায় ১২টার দিকে কয়েকজন সহকারী প্রক্টর শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন।
তাদের মধ্যে থেকে সহকারী প্রক্টর মো. জাবেদ কায়সার ইবনে রহমান বলেন, আমরাও এ ঘটনায় মর্মাহত। যা গেছে তা আর ফিরে আসবে না। তোমরা আমাদের সহযোগিতা করো। এ ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনসহ সবাই কাজ করছে। কিন্তু সহকারীর প্রক্টরের কথায় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলতে চাই।