বিধিনিষেধ না বাড়লে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শাবিপ্রবিতে সশরীরে ক্লাস
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:০৫ AM , আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৩৬ AM
করোনাভাইরাসে ঊর্ধ্বগতিতে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান বিধিনিষেধ আর না বাড়লে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরী সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন চৌধুরী জানান, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণ নিয়ে সরকারের নতুন কোনো বিধিনিষেধ না থাকলে ২২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর ক্লাস শুরু হবে।
এর আগে আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভার্চ্যুয়াল সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। সভা শেষ হয় রাত সোয়া ৮টায়। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল সমূহ খুলে দেওয়া হবে। এরপর আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করতে পারবে।
আরও পড়ুন: ৩ বিভাগে ১৩ জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে শাবিপ্রবি
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। ওই সভার ২৮ দিন পর আজ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হলো।
এর আগে ১৩ জানুয়ারি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কয়েক শ শিক্ষার্থী। ১৬ জানুয়ারি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে এবং তাঁদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে এ আন্দোলন উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
প্রথম ছয় দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় ১৯ জানুয়ারি বেলা তিনটা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। ২৬ জানুয়ারি সকালে অনশনস্থলে এসে লেখক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মুহম্মদ জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এরপর গত শুক্রবার সিলেট সার্কিট হাউসে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলন আপাতত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।