আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের

সংবাদ সম্মেলনে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
সংবাদ সম্মেলনে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহিত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

অনশন শুরুর সপ্তম দিন আজ মঙ্গলবার অনশন ভেঙে ফেলার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দুটি পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আলোচনা শেষে তারা এ সিদ্ধান্ত জানায়। এরপর রাত ৯টা ২৫ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনে অনশন পালনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তাদের মুখপাত্র পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার আবেদিন।

সংবাদ সম্মেলনে অনশনরত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদিন বলেন, আমাদের সহযোদ্ধারা আমাদের এই অবস্থা দেখে অনুরোধ জানান, অনশন ভেঙে ফেলার। এতে আমরা খুশি হয়েছি কিন্তু আমরা অনশনরত শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই যে, আমরা অনশন ভাঙবো না। আমরা এ উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবো এবং চেষ্টা করবো।

আরও পড়ুনঃ আরও এক মাস বাড়ল ৪৪তম বিসিএসের আবেদনের সময়

আন্দোলনরতদের একটি দল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সমবেত হয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ নেন। সে সময় তারা অনশনকারীদের অনশন ভাঙার অনুরোধ জানান। এ দলের নেতৃত্বে ছিলেন মোহাইমিনুল বাশার রাজ।

অনশনকারীরা কর্মসূচিতে অটল থাকার ঘোষণা দেয়ার পর রাজ বলেন, ‘আমরা তাদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাদের অনশন ভাঙার অনুরোধ করেছিলাম। কারণ তাদের জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই। আমরা আমাদের কোনো সহযোদ্ধা হারাতে চাই না। তবে তাদেরকে জোড় করার কিছু নেই। তাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দেব না। আমরা তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই।

‘এর পরেও আমরা অনশন থেকে সড়ে এসে আন্দোলনের বিকল্প পথ খোঁজা যায় কি না এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব।’

১৭ জানুয়ারি থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার থেকে একই স্থানে অনশন শুরু করেন ২৪ শিক্ষার্থী। বাসবভনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ার কারণে ১৭ জানুয়ারি থেকেই কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

এর আগে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলন শুরু হয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। এর পর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ