শাবিপ্রবির আন্দোলনে থাইল্যান্ডের শিক্ষার্থীদের সংহতি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১০:২৮ AM , আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১০:২৮ AM
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন থাইল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী ব্যাংককের মাহিদোল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস স্টাডিজ (আইএইচআরপি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতি পাঠিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পুলিশ কীভাবে একটি ন্যায্য দাবিতে সোচ্চার নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করতে পারে। এটি অত্যন্ত জঘন্য কাজ।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে মন গলেনি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
তারা আরও বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের বর্বরতা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন ও একাডেমিয়ার ওপর আক্রমণ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের উচিত না অস্ত্রসহ কিংবা অস্ত্র ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে সব সময় পুলিশ বাহিনী থাকা উচিত নয়।
এদিকে শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে গণ অনশন শুরু করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত ৮টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গণ-অনশনের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় আরো তিন শিক্ষার্থী নতুন করে অনশনে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ থেকে উঠে এসে ২৭ বছরে প্যানেল মেয়র, জড়ালেন প্রশ্নফাঁসে
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় এক দফা দাবিতে গণঅনশনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এক বিবৃতিতে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে সামিউল সাফিন, ইফতেখার আল মাহমুদ ও সামিরা ফারজানা এই তিনজন এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
এতে বলা হয়, শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ৭৪ ঘন্টা টানা অনশন করে শিক্ষার্থীরা যখন মৃত্যুর দোর গোঁড়ায়, এখনও ফরিদ উদ্দিন আহমেদ নির্বিকার এবং উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। অনশনরত শিক্ষার্থীরা তাদের অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। এবং শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের সহযোদ্ধাদের মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে দেখে গণঅনশনে বসার সংকল্প নিয়েছে। আর সময়ক্ষেপণ না করে উপাচার্যকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, না হয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ভার ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে নিতে হবে। উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ সচক্ষে না দেখা পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে।