অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ বাড়ছে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের

বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবন
বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবন  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষার অন্যতম সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময়ের পরিক্রমায় জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটার) আজ শিক্ষার্থীদের কাছে পরিণত হয়েছে ক্ষোভ ও হতাশার প্রতীক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ইউনিটের অধীনে থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি যে ধরনের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত সাপোর্ট দেওয়ার কথা, তার সামান্য প্রতিফলনও বাস্তবে নেই। বরং শিক্ষার্থীরা দিনের পর দিন লড়াই করছেন অনিয়ম, অব্যবস্থা ও মানসিক চাপের বিরুদ্ধে।

নিটারে একাডেমিক অনিশ্চয়তা যেন এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সময়মতো ক্লাস কিংবা ফলাফল প্রকাশ তো দূরের কথা, এখানে নিয়মিত কারিকুলাম পরিবর্তন পর্যন্ত হয় কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়া। ফলে একজন শিক্ষার্থী জানেন না, তিনি কোন নিয়মে পড়ছেন, কোন মাপকাঠিতে মূল্যায়িত হবেন। অথচ প্রশাসনের একটাই ব্যাখ্যা, ‘ঢাবির কারণে হচ্ছে না’। এ বাক্য যেন নিটারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার ঢাল হয়ে উঠেছে। 

তবে শিক্ষার্থীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুধু সার্টিফিকেটে থাকলেও তার কোনো বাস্তবিক প্রভাব শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনে পড়ে না। প্রশাসন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করলেও তাদের নীতিমালা বা রেগুলেশন মেনে চলে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

আরও পড়ুন: এবার ঈদুল আজহার ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষার পরিবেশ এতটাই নাজুক যে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্থায়ী শিক্ষকের অভাবের কারণে পড়ালেখায় ধাপে ধাপে ঘাটতি তৈরি হয়। শিক্ষকদের অনেকেই অতিথি বা খণ্ডকালীন হওয়ায় ধারাবাহিক শিক্ষা নিশ্চিত হয় না। হল ফ্যাসিলিটিও নিটারে খুবই কম, ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য বসবাস ও পড়াশোনা—দুটোই হয়ে পড়ে চরম দুরূহ। তদুপরি, দীর্ঘমেয়াদি কোনো প্রশাসনিক পরিকল্পনার অভাবের কারণে সমস্যাগুলো শুধু রয়ে যাচ্ছে না; বরং সময়ের সঙ্গে আরও জটিল আকার ধারণ করছে।

সিএসসি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, একাডেমিক কার্যক্রমে রুলস ও রেগুলেশন মানা হয় না। হুটহাট কারিকুলাম পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনে বড় ধরনের ধাক্কার কারণ হয়ে ওঠে। এ ছাড়া অপর্যাপ্ত শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষের সমস্যার কারণে একাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। শিক্ষকের অভাবে কোনো কোনো কোর্সের ক্লাস সেমিস্টার শুরুর দু-তিন মাস পর শুরু হওয়ার মতো নজিরও রয়েছে। বিভাগভিত্তিক শ্রেণিকক্ষ তো দূরের কথা, প্রয়োজনের তুলনায় শ্রেণিকক্ষ এতটাই কম যে, এক বিভাগের ক্লাস শেষ হতে না হতেই অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসে দরজায় ভিড় করতে থাকেন।

তিনি আরও জানান, প্রযুক্তির এ সময়ে প্রজেক্টরের অভাবে কোনো কোনো ক্লাস বাতিল হওয়ার ঘটনা অহরহ। হাতে গোনা কয়েকটি প্রজেক্টর থাকলেও সেগুলো অফিস থেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

আরও পড়ুন: ববি শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বেরিয়ে গেলেন উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ, কার্যালয়ে তালা

আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় ফলাফল প্রকাশ ও রিটেক পদ্ধতিকে ঘিরে। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, ফলাফল এমন সময় প্রকাশ করা হয়, যখন পরদিনই তাদের ল্যাব ফাইনাল বা পরীক্ষা। অর্থাৎ রি-অ্যাডমিশনের সঙ্গে সঙ্গেই একজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে হয়, প্রস্তুতির ন্যূনতম সময় না দিয়েই। এ পরিস্থিতিতে ভালো ফল তো দূরের কথা, পাস করাটাই হয়ে পড়ে দুর্লভ। সবচেয়ে বড় কথা, দেখা গেছে যে কোনো কোনো সেমিস্টারের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশই হয়নি, কিন্তু পূর্ববর্তী সেমিস্টারের রেজিস্ট্রেশনের তারিখ শেষ হয়ে গেছে। এতে যদি কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় খারাপ করার পর রি-অ্যাডমিশন কিংবা রিটেক দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন । ফলে অনেক শিক্ষার্থী ইয়ারড্রপের শিকার হন। কোনো কোনো কোর্সের ক্লাস টেস্টের ফলাফল সেমিস্টার ফাইনালের পরও প্রকাশের ঘটনা রয়েছে।

রিটেক ও ইয়ারড্রপ যেন নিটারে একটি রীতিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছরই শতাধিক শিক্ষার্থী রিটেকে পড়ছেন, অনেকে একাধিক সেশনের জন্য ড্রপআউট হচ্ছেন। রিটেক ও ইয়ারড্রপ নিটারে একপ্রকার বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ১২ ও ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বড় অংশ কোনো না কোনো বিষয়ে রিটেকে পড়েছেন, অনেকেই বছরের পর বছর ইয়ারড্রপ হয়েছেন। বিশেষত ১৩ ব্যাচের টেক্সটাইল, সিএসই ও ইইই বিভাগে রিটেক সংখ্যা এতটাই বেশি যে, একটি পূর্ণ ব্যাচের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী রিটেকে পড়েছেন এবং রিঅ্যাডমিশনের সংখ্যাটাও শতাধিক। এর কারণ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, পরীক্ষার সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ করা হয় যে, একই সপ্তাহে রিটেক ও চলমান সেমিস্টারের পরীক্ষা থাকায় একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে সব বিষয় পাস করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ১২ ব্যাচে ইন্ট্রোডাকশন টু টেক্সটাইল বিষয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী রিটেক করেছেন শুধু ভুল সিলেবাস পড়ানোর কারণে। এর কারণ সম্পর্কে কোনো স্বচ্ছ ব্যাখ্যা দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠানটির ১২ ব্যাচের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের এক শিক্ষার্থী নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ‘সিলেবাস ঠিকঠাক সম্পন্ন না করার কারণে সাবজেক্টে এত বেশি রিটেক হয়েছে। ওই শিক্ষক শুধু অনলাইনে কয়েকটি ক্লাস নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, আমাদের সেকশনে আউট অব সিলেবাসে পড়ানো হয়েছিল। সেটারই প্রভাব পড়েছিল হয়তো। আর আমাদের শিক্ষার্থীদেরও কিছুটা ঘাটতি থাকতে পারে। সে জন্য এত রিটেক হতে হয়েছে।’

নিটারে শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ওপর আর্থিক চাপও রয়েছে চরম মাত্রায়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, রিটেক ফি ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত, ড্রপআউটের ফি ২৯ হাজার টাকা এবং পুনঃভর্তি, পরীক্ষা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে এক শিক্ষার্থীর জন্য এক বছরের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, যারা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যেতে চান, তাদের জন্যও রয়েছে লাখ টাকার জরিমানা ও সময়ের জটিলতা, যা অনেকটা ‘শিক্ষা ফাঁদ’-এর মতোই মনে করছেন অনেকে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিটারে সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছিলেন—নতুন একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল, ফলাফল-সংক্রান্ত স্বচ্ছতা, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে। তবে প্রায় ৮ মাস পার হয়ে গেলেও এসব দাবির বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো নেই কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি। ১৪ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্তের প্রতিবেদন জমা নিয়ে ধোঁয়াশা, নতুন হল ভবন বা একাডেমিক ভবনের কাজেও নেই চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি। শিক্ষার্থীরা বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তাদের অবস্থান থেকে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন: নাম পরিবর্তনের দাবিতে বন্ধ গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, গুচ্ছ পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা

নিটার পরিচালক অধ্যাপক ড. আশেকুল আলম রানা কারিকুলাম পরিবর্তন সম্পর্কে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তারা তা প্রশাসনকে বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাতে পারে। সিলেবাস পরিবর্তন হয়েছে কি না, সেটি আমি নিশ্চিত নই। কারণ আমি জানুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।’

শতাধিক শিক্ষার্থীর ইয়ারড্রপ, ভুল সিলেবাসে ক্লাস, রিটেক এবং একই সময়ে ফাইনাল পরীক্ষা প্রসঙ্গে আশেকুল আলম রানা বলেন, ‘রেজাল্ট প্রদান কিংবা পরীক্ষার সময় নির্ধারণ নিটার কর্তৃপক্ষের আওতায় পড়ে না। এগুলো পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস পরিচালনা করে। নিটার একটি অধিভুক্ত কলেজ। ফলে নিটারের এককভাবে সময়সূচি নির্ধারণের ক্ষমতা নেই। রেজাল্ট প্রকাশের বিষয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই বলতে পারবে, আমরা তা প্রস্তুত করি না। নিটারের একাডেমিক কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফিস পরিচালনা করে। তবে রেজাল্ট দুই মাসের মধ্যে হওয়া উচিত, যা তারা করতে পারছে না। আমি বারবার তাদের চিঠি দিয়েছি। রিটেকের সময়ও দেরি হচ্ছে। ফলে সেমিস্টার পরীক্ষা শুরুর আগে রিটেক শেষ হয় না। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।’

শিক্ষক সংকট প্রসঙ্গে অধ্যাপক আশেকুল আলম বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি বড় একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আমরা শিক্ষক নিতে চাই, কিন্তু এখানে খুব কমসংখ্যক আবেদন আসে। আমি তো বাসা থেকে শিক্ষক ধরে আনতে পারব না। সিনিয়র ফ্যাকাল্টি (অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক) পদে তো কেউ আবেদনই করেন না। সহকারী অধ্যাপক পদে দু-একজন আবেদন করেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১২-১৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। যদিও আমরা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুব একটা শিক্ষক সংকট নেই, তবুও কিছু শিক্ষক সংকট আছে।’

আরও পড়ুন: ‘ফিরোজা’য় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া

তিনি আরও বলেন, ‘গত চার মাসে তিনটি প্রজেক্টর চুরি হয়েছে। প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে আমি সব প্রজেক্টর খুলে স্টোররুমে সংরক্ষণ করেছি। প্রযুক্তিগত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই, সিসিটিভিও নেই। এখন প্রয়োজন অনুযায়ী ক্লাসে স্টোররুম থেকে প্রজেক্টর নেওয়া হয়। আশা করছি, জুন মাসে ক্লাসরুমে স্থায়ীভাবে প্রজেক্টর বসানো যাবে। এর আগে আমরা ক্যাম্পাসে সিসিটিভির আওতায় আনতে চাই।’

শ্রেণিকক্ষ সংকট বিষয়ে অধ্যাপক ড. আশেকুল আলম বলেন, ‘এটা আজকের সমস্যা না। নিটারের অবকাঠামো ৬০০ থেকে ৭০০ শিক্ষার্থীর উপযোগী। অথচ বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ১০০। শুধু শিক্ষার্থী না, শিক্ষকদেরও বসার জায়গার সংকট আছে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়ন সহজ নয়। নিটারের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার রয়েছে—বিটিএমএ, বিটিএমসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। গঠনতন্ত্রের কারণে অনেক কিছুই সম্ভব হয় না। আমরা দুটি অস্থায়ী স্থাপনা তৈরির পরিকল্পনা করছি, যেখানে আটটি শ্রেণিকক্ষ থাকবে। এতে কিছুটা সংকট লাঘব হবে।’

রিটেক ও রি-অ্যাডমিশন প্রসঙ্গে আশেকুল আলম রানা বলেন, ‘আমি পরিচালক হিসেবে নয়, শিক্ষক হিসেবে বলছি, রিটেক ও রি-অ্যাডমিশনের জন্য অনেকাংশে শিক্ষার্থীরাই দায়ী। ভালো ফল পাওয়া কঠিন হতে পারে, কিন্তু পাস করা কঠিন কিছু না। আমি খতিয়ে দেখেছি। প্রথম সেমিস্টারে যাদের জিপিএ-২-এর নিচে ছিল, তারাই দ্বিতীয় সেমিস্টারেও খারাপ করেছে। দ্বিতীয় বর্ষে প্রায় ৩০ জন ড্রপআউট হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে ২৮ জন আবারও ড্রপআউট হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি, কীভাবে এটা কমিয়ে আনা যায়।’

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিলেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা

তিনি আরও বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, প্রতিটি বিভাগের জন্য রিটেক ফি ভিন্ন। কোথাও কোথাও দু-তিনটি বিষয়ের জন্য ৩০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। আমি ডিন অফিসে চিঠি দিয়েছিলাম যেন সব বিভাগের জন্য ফি সমান করা হয়। কিন্তু শুনেছি, সেই প্রস্তাব ডিন অফিস থেকে বাতিল করা হয়েছে। রিটেক ফি আমরা নির্ধারণ করি না। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। যে শিক্ষার্থী যেদিন পর্যন্ত ক্লাস করেছে, সেদিন পর্যন্ত টিউশন ফি নেওয়া হয়। কেউ যদি সেমিস্টার শুরু করে, তাহলে পুরো সেমিস্টারের চলমান টিউশন ফি দিতে হয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম আমজাদ হোসেন (শিশির) বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। আমরা ইতোমধ্যে একটি পরিদর্শন দল গঠন করেছি। কিছু দিনের মধ্যে হুমায়ুন ও ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে পরিদর্শনে যাব। যে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে অভিযোগ উঠবে পর্যায়ক্রমে তদন্তের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ