‘আবরার হত্যার আসামি পালানোর ছয় মাস পর কেন জানানো হলো বোধগম্য নয়’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৬ PM , আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৬ PM

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে এর বাস্তবায়ন চেয়ে এটিকে দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থাপন করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
আবরার ফাহাদ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন আবরার ফাইয়াজ । তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর অনেকে পালিয়েছে। কিন্তু এমন একজন আসামি, যিনি আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ছয় মাস পরে কেন জানানো হলো, সেটি আমাদের বোধগম্য নয়।’
আরও পড়ুন: রায়ে ‘সন্তুষ্ট’ বুয়েট শিক্ষার্থীরা, দ্রুত কার্যকরের দাবি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এই রায় দেন।
প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে এত বড় একটি রায় আসবে, গত এক বছর আগে এমনটি আমরা কল্পনা করতে পারিনি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। ’
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রসঙ্গে আবরার ফাইয়াজ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলো কথা বলতে পারবে। কিন্তু আমরা চাই, যে পরিণতি আবরার ফাহাদের হয়েছে, সেটা যেন অন্য কাউকে বরণ করতে না হয়।’ বিষয়টি নিয়ে সরকার ও ছাত্রসংগঠনগুলোকে ভূমিকা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ বলেন, ‘আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে ভবিষ্যতে যেন আর কোনো আবরারকে জীবন দিতে না হয়, সেই পরিবেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে র্যাগিং–মুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, যাতে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারেন।’
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে রায় ঘোষণার পর এসব কথা বলেন বরকতউল্লাহ। আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এদিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের নিজ বাড়ি থেকে আবরার ফাহাদ হত্যার রায়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাঁর মা রোকেয়া খাতুন। দুপুরে তিনি বলেন, ‘আমার মতো কোনো মায়ের যেন সন্তান হারাতে না হয়। আর কোনো ছেলেকে যেন অল্প বয়সে নির্মমভাবে জীবন দিতে না হয়। এ জন্য সবার কাছে চাই যে, রায়টা দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর হলে আর কেউ হয়তো এমন কাজ করতে সাহস পাবে না।’