চুয়েটে হাল্ট প্রাইজের গ্র্যান্ড ফিনালে আজ
- চুয়েট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ PM , আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫২ PM

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক উদ্যোগ প্রতিযোগিতা হাল্ট প্রাইজ, যা টেকসই ধারণার মাধ্যমে সামাজিক সমস্যার সমাধান খুঁজে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা তৈরি করে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আয়োজিত হাল্ট প্রাইজের গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০টির অধিক দল অংশগ্রহণ করে। দ্বিতীয় পর্বে ২৫টি দল উত্তীর্ণ হয়। এরপর অংশ নেওয়া ২৫টি টিমের মধ্য থেকে সেরা ১৬টি টিম সেমিফাইনাল রাউন্ডে উন্নীত হয়। চূড়ান্ত পর্বে বাছাইকৃত শ্রেষ্ঠ ছয়টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ফাইনালে আসা দলগুলো হলো- প্ল্যানটিয়ার্স, রেজোনেন্স, নেক্সাস, ট্যুরিস্টিক, কংক্রিট হেডস ও দ্য ইনকগনিটো।
গ্র্যান্ড ফিনালে বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান, ঢাকা ক্যাপিটালসের পরিচালক এবং সিইও আতিক ফাহাদ, কে.ডট.কো এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুজ্জামান কিরন, ডিজিডেন আইটির সিইও জাবেদ উদ্দীন, রোবট্রি বিডির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মুন্না, ইউনিলিভার বাংলাদেশের মেইনটেনেন্স ম্যানেজার অনিন্দ্য দাশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা পরিষদের সহকারী পরিচালক রিয়াদ আশরাফ।
ফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়া ‘দ্যা ইনকগনিটো’র সদস্য পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মৌমিতা দত্ত প্রিয়া বলেন, ‘উদ্ভাবন, নতুনত্ব, অর্থনৈতিক, বিশ্বব্যাপী প্রভাব এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য নিয়ে হাল্টে আইডিয়া ক্রিয়েট করতে হয়। প্রতিযোগিতার পুরো প্রক্রিয়াটাই আমাদেরকে সফল উদ্যোক্তা হবার পথে যেমন সাহস যোগাচ্ছে, তেমনি নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমি ও আমার টিমমেটরা ফাইনাল নিয়ে বেশ আশাবাদী। দারুন কিছুর অপেক্ষায়।’
আরো পড়ুন: চার শিক্ষার্থীর চোখে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ
ফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়া আরেকটি দল ‘টুরিস্টিক’র সদস্য পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা মীম বলেন, ‘হাল্টকে ধন্যবাদ এতো দারুন একটা সুযোগ তৈরি করে দেয়ার জন্য। ফাইনাল নিয়ে অনেক বেশি এক্সাইটেড আর সাথে ভয় ও হচ্ছে। তবে একই সাথে আমরা আত্মবিশ্বাসী আমাদের বিজনেস আইডিয়া নিয়ে। অবশ্যই ভালো কিছুর অপেক্ষায়।’
হাল্ট প্রাইজ চুয়েট শাখার ডেপুটি ডিরেক্টর আবরার হাফিজ রব্বানী বলেন, ‘হাল্ট প্রাইজ চুয়েট অন ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতাটি চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে – অ্যাবস্ট্রাক্ট রাউন্ড, ভিডিও পিচিং রাউন্ড, সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনাল। প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে আমরা পেয়েছি ছয়টি সেরা ফাইনালিস্ট দল, যারা অনন্য আইডিয়া এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করেছে।
উল্লেখ্য,ফাইনাল পর্বের বিজয়ী শ্রেষ্ঠ ৩ টি দল অংশগ্রহণ করবে জাতীয় পর্যায়ে। জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।