দুই বছর পর মাভাবিপ্রবির ১৭২ শিক্ষার্থীর প্রাথমিক নিশ্চয়নের টাকা ফেরত

মাভাবিপ্রবি
মাভাবিপ্রবি  © লোগো

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৭২ জন শিক্ষার্থী সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের প্রাথমিক নিশ্চয়নের জন্য জমা দেওয়া ৫,০০০ টাকা ফেরত পেয়েছেন।

জানা যায়, ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় গুচ্ছ পদ্ধতিতে প্রাথমিক নিশ্চয়নের জন্য এই টাকা চূড়ান্ত ভর্তি ফি-এর সাথে সমন্বয়ের কথা থাকলেও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত ভর্তি ফি পরিশোধের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫,০০০ টাকা প্রদান করতে বাধ্য হন।

সেই সময় প্রশাসন থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও, দীর্ঘদিনেও অর্থ ফেরত পাননি শিক্ষার্থীরা। অবশেষে দুই বছর পর নতুন প্রশাসনের উদ্যোগে ৮টি বিভাগের ১৭২ জন শিক্ষার্থী তাদের প্রাপ্য অর্থ ফেরত পেয়েছেন। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রশংসায় ভাসছেন বর্তমান উপাচার্য। 

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আহসান হিরো বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, কিছুটা বিলম্ব হলেও আমরা আমাদের প্রাপ্য অর্থ ফিরে পেয়ে আনন্দিত। একসময় মনে হয়েছিল, হয়তো এই টাকা আর ফিরে পাব না। তবে বর্তমান উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং তা বাস্তবায়নও করেন। এজন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য স্যারের ছাত্রবান্ধব মনোভাব আমাদের এই সমস্যার সমাধানে সহায়তা করেছে। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী নাবিল বলেন, ‘প্রাথমিক ভর্তির টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আমরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি। প্রায় দুই বছর পর আজ সেই টাকা হাতে পেলাম। আগের প্রশাসনের সময়ে বারবার দাবি জানিয়েও আমরা কোনো আশ্বাস পাইনি। তখনকার ভিসি স্যার আমাদের বলেছিলেন— “তোমরা যদি এভাবে চাপ দাও, তাহলে আমার দৌড় দিতে হবে ঢাকার দিকে।” 

নাবিল বলেন, ‘তাই অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম, আদৌ টাকা ফেরত পাব কি না। কিন্তু বর্তমান ভিসি স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে, আমরা আমাদের টাকা অবশ্যই ফেরত পাব। আজ সেই আশ্বাস বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আমরা আমাদের প্রাপ্য টাকা হাতে পেয়েছি। স্যারের প্রতি আমাদের সম্মান ও আস্থা আরও বেড়ে গেছে, কারণ তিনি তার কথা রেখেছেন। এজন্য আমরা ভিসি স্যার ও তার প্রশাসনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রশাসন শিক্ষার্থী-বান্ধব, আমরা আশা করি ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানে তারা আন্তরিক থাকবেন।’

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, ‘তাদের খুশি আমাকে আনন্দিত করেছে। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে এই টাকার ব্যবস্থা করেছি, কারণ এটি তাদের প্রাপ্য ছিল, যা বিশ্ববিদ্যালয় আগে দিতে পারেনি। আমাদের অ্যাকাউন্টস বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে টাকাটি প্রদান করেছি। তারা যদি এতে খুশি হয়, তবে আমিও খুশি, কারণ তারা তাদের প্রাপ্যটুকু পেয়েছে।  যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনও টাকা ফেরত দেয় নাই তাদেরকেও অনুরোধ করছি সেটি ফেরত দেওয়ার জন্য।’


সর্বশেষ সংবাদ