মাভাবিপ্রবিতে পর্দা করায় হেনস্তা, ছাত্রীর অভিযোগ 

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগে ২০২২-২৩ ছাত্রী জান্নাতুন মাওয়া তিশা (মুন) নিকাব পরিধান করে পরীক্ষার হলে নিকাব খোলার বিষয়ে হেনস্থার  শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।

তিনি রাত ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্লাটফর্ম ফেইসবুক গ্রুপের পোস্টে উল্লেখ করেছেন, পরপর দুইদিন পরীক্ষার হলে তাকে সবার সামনে নিকাব খুলতে জোরাজুরি করা হয়। শিক্ষকদের এই আচরণের প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্নভাবে অপমান করা হয় এবং হুমকি দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানিয়েছেন, "ইসলামি শরীয়তে কোথায় লিখা আছে মুখ ঢাকতেই হবে?" এই ধরনের কটূক্তি শুনতে হয়েছে। এছাড়াও, তার নকল করার অভিযোগ তুলে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তাকে একপাশে নিয়ে চেক করার অনুরোধ করার পরও তাকে সবার সামনে নিকাব খুলতে জোরাজোরি করা হয়। নিকাব খুলতে নারাজ হওয়ায় তাকে বিভিন্ন কটূক্তি করা হয়। এই সময় তাকে বলা হয়- মুখ না খুলে ছবি উঠাও কীভাবে? এমন হলে পড়ার দরকার নাই, তুমি চলে যাও, তোমার পরীক্ষা বাতিল, তোমার মতো মেয়েরা পড়তে আসে কেন?

এই ঘটনায় তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, পর্দা করা মেয়েদের কি ভার্সিটিতে পড়ার কোন অধিকার নাই?

ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কানিজ মরিয়ম আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি দাবি করেছেন ঘটনাগুলো অন্যভাবে কোড করা হয়েছে। 

আলাদা জায়গায় নিয়ে ফেইস ভেরিফিকেশনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ''তিশার পরীক্ষার সিটের অনেক পর একজন ছেলে শিক্ষার্থীর সিট। ঐ জায়গায় অন্যকেউ তার ফেইস দেখার সুযোগ ছিল না তাই পরীক্ষা কেন্দ্রেই তাকে ফেইস দেখাতে বলা হয়।''

শিক্ষার্থী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করে একপাশে গিয়ে ভেরিফিকেশনের অনুরোধটি কেন রাখা হলো না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাইরে নিয়ে ফেইস ভেরিফিকেশনের আইন নাই এবং এতে অনেক সময় নষ্ট হবে।

তিনি আরও জানান, প্রশান্ত নামের তৃতীয় শ্রেণির একজন কর্মচারী শিক্ষকদের উপস্থিতেই শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য করে নকল আনার অভিযোগ ও অপমানজনক কথাবার্তা বলেছেন। এজন্য আগামী কর্মদিবসে এই কর্মচারীকে শোকজ করা হবে।

পরীক্ষা বাতিলের হুমকি ও অন্যান্য হুমকির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব রূপক অর্থে বলা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থী ভয় পেয়ে এক্সাম সিটেই ফেইস ভেরিফিকেশনে সহায়তা করেন। ইসলামি শরীয়ায় পর্দার বিষয়ে বলেন, আমি এটা বুঝাতে চেয়েছি আমাদের ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া আর ইসলামি শরীয়াহ পরস্পর বিরোধী না।


সর্বশেষ সংবাদ