৪র্থ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি শাবিপ্রবি শিক্ষকদের

মৌন মিছিল
মৌন মিছিল  © টিডিসি ফটো

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে ৪র্থ দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন ও মৌন মিছিল করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত সমাজবিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে একটি মৌনমিছিল বের করে গোল চত্বরে প্রদক্ষিণ করে আবারও সমাজবিজ্ঞান ভবনের সামনে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ-সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।

প্রত্যয় স্কিম বাতিলের যৌক্তিকতা তুলে ধরে শাবিপ্রবি শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা এবং গৌরব রক্ষায় গত মে ২০২৪ থেকে গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন, পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ও সর্বাত্মক কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, অদ্যাবধি যথাযথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমরা দ্রুত এর সমাধান নিয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যেতে চাই। 

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ-সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর বলেন, গত মে মাসের শুরু থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সুস্পষ্ট দাবিতে তাদের চলমান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা অত্যন্ত ধৈর্য ও নমনীয়ভাবে তাদের দাবিগুলি জানিয়ে আসছে। গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন, কালোব্যাজ ধারণ, বিভিন্ন কর্মসূচি, কর্মবিরতিসহ পরবর্তীতে কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনের দিকে শিক্ষকরা যেতে বাধ্য হচ্ছে। 

এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথাবার্তা না বলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরকে প্রত্যয় নামক স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা প্রচণ্ড রকমের অপমানবোধ করেছে এবং তারা মনে করে এটা বৈষম্যমূলক এবং অবিচার করা হয়েছে শিক্ষকদের সাথে। বিশ্ববিদ্যালয় যারা আসে তারা শুরু থেকে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট রেজাল্ট নিয়ে ও বিভিন্ন উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে  বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে শিক্ষকতা নামক মহান পেশায় নিজেদেরকে যুক্ত করে, তারা চাইলে অন্য পেশায় যুক্ত হতে পারতো কিন্তু আফসোস এই মেধাবীদেরকে প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া হচ্ছে না । 

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ১ জুলাই ২০২৪ তারিখ যোগদানকৃত এবং ৩০ জুন ২০২৪ যোগদান কৃত শিক্ষকদের মধ্যে পেনশন বৈষম্যের শিকার হবে। একই ব্যাচের দুজন ছাত্র দুই দিনে শিক্ষকতায় চাকরি শুরু করার ফলে যে বৈষম্যের শিকার হবে সেটা সত্যিই অপমানজনক। তাই আমরা আগেও বলে আসছি এবং এখনো বলছি যতদিন পর্যন্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া না হচ্ছে ততোদিন আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।


সর্বশেষ সংবাদ