বেস্ট রিসার্চ প্রেজেন্টার অ্যাওয়ার্ড পেলেন হাবিপ্রবির ৯ শিক্ষক
- হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩১ PM , আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩১ PM
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বেস্ট প্রেজেন্টার অ্যাওয়ার্ড পেলেন হাবিপ্রবির ৯ শিক্ষক। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইন্সটিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের গবেষণা প্রকল্প সমূহের চূড়ান্ত ফলাফল উপস্থাপন বিষয়ক অ্যানুয়াল রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ ২০২৩ এর ওপর বেস্ট প্রেজেন্টার অ্যাওয়ার্ড (২০২২-২৩) প্রদান করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রতিটি অনুষদ থেকে ১ জন (কৃষি অনুষদের ২ জন) মোট ৯ জন শিক্ষককে সেরা প্রেজেন্টার হিসেবে মনোনীত করা হয়। জুরি বোর্ডের বিচারকরা আলাদা আলাদা নম্বর প্রদানের মাধ্যমে অনুষদ ভিত্তিক সেরা প্রেজেন্টার মনোনীত করেন। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান, সভাপতিত্ব করেন আইআরটি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. হারুন-উর-রশীদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইআরটি’র সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ সুলতান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের সম্মানিত ডীন, চেয়ারম্যান ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সেরা প্রেজেন্টার হিসাবে পদকপ্রাপ্ত হয়েছেন কৃষি অনুষদের অধ্যাপক ড. নূরে ই নাজমুন নাহার,কৃষি অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামস শায়লা ইসলাম,কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সহকারী অধ্যাপক রনি তোতা,বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন, মাৎসবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল ইসলাম,ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন সরকার,ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. মামুনা শারমিন,বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ এবং সোশ্যাল সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক আশারফি বিনতে আকরাম।
আরও পড়ুন: বয়সের গ্যাড়াকলে হাজারো নিবন্ধন প্রার্থীর বাদ পড়ার আশঙ্কা
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা যারা গবেষণায় জড়িত আছি তাদের সবাইকে এধরনের স্বীকৃতি ব্যাপক উৎসাহ যোগাবে।গবেষণা কর্ম একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে নতন জ্ঞানের খোঁজ করা,নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি, নতুন জ্ঞানের বিতরণ ও প্রায়োগিকতা অর্জনসহ নতুনদার উন্মোচন।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি এধরনের ধারনাকে ধারন করে এগিয়ে যাচ্ছে এবং গবেষক রা ও নিরোলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আশা করছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট গুনিজন নতুন উদ্যমে এবং ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে আরো গবেষণা কর্মে মনোনিবেশ করবে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব পরিমন্ডলে গুনগত, প্রায়োগিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করবে। এ মহৎ উদ্যেগের সাথে জড়িত আমাদের উপাচার্য স্যার সহ সংশ্লিষ্ট আইআরটি এবং অন্যান্য সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
অ্যাওয়ার্ড প্রদান শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, বিজয়ের মাস চলছে, এই মাস আমাদের জন্য আনন্দের ও গর্বের। এই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্যই বঙ্গবন্ধু এতো ত্যাগ, তিতিক্ষা, জেল, জুলুম সহ্য করেছিলেন। বিজয়ের মাসে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তিনি বলেন, তৃতীয় অ্যানুয়াল রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপে আপনারা প্রত্যেকে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছিলেন। সেই উপস্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধ থেকে সম্মানিত বিচারক মণ্ডলী বাচাই বাছাই করে বেস্ট প্রেজেন্টার অ্যাওয়ার্ড নির্ধারণ করেছেন। আমরা শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বদ্ধ পরিকর। এই এগিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ার আপনাদেরকে উৎসাহিত ও সম্মানিত করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এসবের প্রধান লক্ষ্য হল গবেষণার দিকে গুরুত্ব আরোপ করা। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজই হলো গবেষণা, এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পরিশেষে তিনি এ ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্টদের তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।