মাভাবিপ্রবিতে নানা আয়োজনে ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত 

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাভাবিপ্রবির পক্ষ তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাভাবিপ্রবির পক্ষ তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।   © টিডিসি ফটো

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) পক্ষ থেকে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।  

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৭টায় মাওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মাভাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,  কর্মকর্তা, কর্মচারি ও  শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারি সমিতি, ভাসানী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ (অফিসার), বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়াও সকাল ৮ টায় তবারক বিতরণ ও বাদ জুময়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে  মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। 

ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনও এদিন এই মহান নেতার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। 

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে (বর্তমানে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়। 

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাঁর (ভাসানীর) অত্যন্ত সাদাসিধা জীবনযাপন দেশ ও জনগণের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসারই প্রতিফলন। মওলানা ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি। 

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর (ভাসানীর) আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল উল্লেখ করে বলেন, শোষণ, বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। 

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ