যবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে দুই তদন্ত কমিটি, বহিষ্কার ১

গতকাল শনিবার শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে
গতকাল শনিবার শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে  © লোগো

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দু'টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া এ ঘটনায় সোহেল রানা নামের গণিত বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। আজ রবিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, গতকাল শনিবার দুপুরের পর শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৩ জন সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ৬ নেতাকর্মী আহত হন। পরে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত ঘোষণা করেন। এছাড়া কেনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে আগামী ৭ দিনের মধ্যে দপ্তর সেল বরাবর লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।

এদিকে, সংঘর্ষের এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিবকে আহ্বায়ক করে একটি এবং ৩ সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলামকে আহ্বায়ক করে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই কমিটিকেই আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সোহেল রানাকে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়ে জানা যায়, ২০২২ সালে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অপরাধে তাকে এক বছর বহিষ্কার ও আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজে জড়িত থাকবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন। কিন্তু গতকাল বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর ফলে মুচলেকা দেওয়ার পরও পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অপরাধে সোহেল রানাকে সাময়িক বহিষ্কার ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ও হলে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া এ আদেশ অমান্য করলে কোনো নোটিশ ছাড়াই তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা যায়, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. আল মামুন সিমন, আশরাফুল ইসলাম ও নৃপেন্দ্র নাথ রায়ের উপর হামলার ঘটনায় তিন জনই প্রক্টর বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স আটকে রাখার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. সৈয়দ মো. গালিবকে আহ্বায়ক, রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ড. মেহেদী হাসানকে সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এছাড়া একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের প্রথম বর্ষের তিন শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জামিল খান, সাজিদ সালাউদ্দিন ও ওমর ফারুক জিহাদীকে গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানা মারধর করেন মর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলামকে আহ্বায়ক, সহকারী প্রক্টর এস. এম. মনিরুল ইসলামকে সদস্য ও আরেক সহকারী প্রক্টর মো. তানভীর হোসেনকে সদস্য সচিব করে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ