উপাচার্যের ‘স্বেচ্ছাচারিতায়’ যোগ্যদের বাদ পড়ার খবরের প্রতিবাদ মাভাবিপ্রবির

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

গত ১১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা, শিক্ষাঙ্গণ ও তারুণ্যের গল্পে সাজানো পূর্ণাঙ্গ নিউজ পোর্টাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ‘শিক্ষক নিয়োগে উপাচার্যের ‘স্বেচ্ছাচারিতায়’ বাদ পড়েছেন যোগ্যরা’—এমন একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। যা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবাদলিপিতে উচ্চশিক্ষালয়টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদে- “স্বেচ্ছাচারিতা”, “প্রশ্নবিদ্ধ”, “অতি আগ্রহ”, “ছলচাতুরী” শব্দগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছে। এ জাতীয় শব্দগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠেয় নিয়োগ পরীক্ষার প্রেক্ষাপটের সাথে কোনোভাবেই যায় না, ইহা কলম-শত্রুতা বৈ কিছুই নয়। সংবাদটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকেরও মতামত প্রকাশিত হয়েছে, এতে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষা না হওয়ায় এবং বর্তমান প্রশাসনকে বিব্রত করার হীন উদ্দেশ্য প্রতিফলনের আভাস পাওয়া যায়।’

‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠেয় শিক্ষক নিয়োগ এ যাবত কালের সবচেয়ে নিরপেক্ষ এবং কার্যকরী প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে। স্থান-কাল, বর্ণ-গোত্র, আত্মীয়তার সম্পর্ক-সমস্ত বিষয়গুলোকে আমলে না নিয়ে যাতে শুধু মাত্র মেধাবী ও যোগ্যরাই যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মহান পেশায় আসতে পারে শুধুমাত্র সেই বিষয়ই গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: মাভাবিপ্রবির শিক্ষক নিয়োগে উপাচার্যের ‘স্বেচ্ছাচারিতায়’ বাদ পড়েছেন যোগ্যরা

এতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কত বেশি নিরপেক্ষতায় সম্পন্ন হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ বাছাই বোর্ডের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সর্বজন সমাদৃত। যারা সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে কীর্তিমান। উনারা সবাই এই পদ্ধতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং এর চেয়ে নিরপেক্ষতায় শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন।

এছাড়াও নিয়োগ প্রক্রিয়াটি কোনোভাবেই ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার জন্য নয় বরং নিয়োগ সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করেই সম্পন্ন হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবাদলিপিতে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের বক্তব্য: ‘‘মাভাবিপ্রবির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকে নানা রকম প্রশ্ন ছিল। এ প্রতিবেদনে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও তার বিভিন্ন পর্যায়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের। শিক্ষক নিয়োগে মেধাবীরা সুযোগ পাবে—এটি যথেষ্ট স্বাভাবিক। কিন্তু, তার বিপরীতে মেধাবীদের বাদ দেওয়া হচ্ছে—এমন অভিযোগ কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আসা এবং তা নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হলে তার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করে না দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস।’’

এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধাবীদের বাদ, দুই পদের বিপরীতে চারজনকে নিয়োগ, পরীক্ষা কমিটিতে না থেকেও হলে উপস্থিত থাকা, ফলাফল প্রকাশ নিয়ে প্রার্থীদের সাথে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশেষ প্রার্থীকে (সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত) হলে উপাচার্যের সাথে পরিচিত করে দেওয়াসহ প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে যে-সব গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে তার জবাব প্রতিবাদলিপিতে স্পষ্ট করা হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ