বাইরের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বশেমুরবিপ্রবি ক্যান্টিনের খাবার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ০৪:০১ PM , আপডেট: ৩১ মে ২০২৩, ০৪:০১ PM
শিক্ষার্থীদের অপেক্ষাকৃত কম দামে ভালো মানের খাবার সরবরাহের জন্যই সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ক্যান্টিন বা খাবারের দোকানের অনুমতি দিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন মালিকরাও বিষয়টি মেনেই তাদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তবে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) হলগেট সংলগ্ন লিপুস ক্যান্টিনে দেখা গেছে এর বিপরীত চিত্র।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যান্টিনটি বাইরের তুলনায় কম মূল্যেতো নয়ই বিভিন্ন সময় পণ্যের সর্বোচ্চ মূল্যমানের চেয়েও অধিক দামে পণ্য বিক্রি করে তারা। এমনকি ক্যান্টিনের মালিক এবং কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণসহ শিক্ষার্থীদের ওপর তেড়ে আসার অভিযোগও রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লিপুস ক্যান্টিনে দুপুর ও রাতের খাবার এবং বিভিন্ন মুদি-মণিহারী পণ্য বিক্রি করা হয়। এদের মধ্যে প্রাণের কাচের বোতলজাত জুস ২০টাকা সর্বোচ্চ মূল্যমান থাকলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে ২৫টাকা মূল্যে, প্যাকেটজাত জুসের মূল্যমান ১৮টাকা থাকলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে ২০টাকায়। এছাড়া রান্না করা খাবারের ক্ষেত্রেও অপেক্ষাকৃত বেশি দামে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন: প্রক্সিকাণ্ডে ফেঁসে গেলেন রাবি ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুল
অধিক মূল্য রাখার বিষয়ে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল মুহায়মিন আদীব বলেন, একটা ক্যান্টিন দিনের পর দিন শিক্ষার্থীদেরকে শোষণ করে যাচ্ছে। এই দায় বিশ্ববিদ্যালয় এড়াতে পারে না। এছাড়া নিউ মার্কেটের দোকানগুলোর থেকেও লিপুস ক্যান্টিনের সার্ভিস খারাপ। লিপুস ক্যান্টিন নিয়ে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এত অভিযোগের পরও যদি ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে ব্যক্তিস্বার্থের প্রশ্ন চলে আসে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সিগবাতুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, লিপুস ক্যান্টিনে কলার দাম নেয় ৭ টাকা অথচ বালুর মাঠে ৫ টাকা! এছাড়াও সব জিনিসের দাম বেশী লিপুসে। এছাড়া, নিউমার্কেটে ৩ টাকার সিঙ্গারা ৫ টা বিক্রি করছে! প্রশাসনের এসব বিষয় তদারকি করা দরকার। শিক্ষার্থীসুলভ মূল্য রাখতে না পারলে তাদের দোকান দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সুবাত ইউবাহম বলেন, দাম তো বেশি রাখেই, তাদের ব্যবহার ও খারাপ। এমনকি বেশি দাম নেয়ার প্রতিবাদ করলে বলে, নিলে নাও না নিলে না নাও। যেখানে স্টুডেন্টদের সুবিধা দেওয়ার কথা, বাইরের তুলনায় মূল্য কম রাখার কথা সেখানে তারা এমন আচরণ করে। এর একটা সমাধান খুবই দরকার।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, শুধু লিপুজ ক্যান্টিন না বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যতগুলো দোকান আছে সবগুলোর বিষয়েই একটা মিটিং এর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।