বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামের পক্ষে দাঁড়ালেন শত শত শিক্ষার্থী

  © টিডিসি ফটো

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচারিত হয়েছে দাবি করে বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক ফোরামের উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে মানববন্ধন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (২৯ মার্চ) বাদ যোহর প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধনের অংশ নেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, শেখ আব্দুর রহিমকে প্রয়োজন ছাড়া মসজিদে কখনও দেখা যায় না এবং তিনি নিজ বাসভবন টুঙ্গিপাড়াতে থাকেন। তিনি কীভাবে সংবাদ প্রকাশ করেন ইমাম বেতন নিয়ে নামাজ পড়ান না! শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরন করেন এমন মিথ্যাচার অভিযোগও করা হয়েছে। এছাড়া ছাত্রীদেরকে খতিবের স্ত্রী তালিম দিয়ে থাকেন। এখানে ইমাম সাহেবকে কেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংযুক্ত করা হল?

তালিমে অংশগ্রহণকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, তথাকথিত তালিম বলে ইলম অর্জনকে অবমাননা করা হয়েছে। অথচ সম্পূর্ণ পর্দা ও নন-মাহরাম অবলম্বন করে খতিবের স্ত্রী দ্বারা তালিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরকম ভিত্তিহীন ও মানহানিকর নিউজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনে প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আরও পড়ুন: কারণ দর্শাতে আরও সাত দিন সময় পেলেন ইবির তিন অভিযুক্ত

মানববন্ধনে সংবাদ প্রচারকারী সাংবাদিককে বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদিক ফোরাম সংগঠন ও  (প্রচারিত সংবাদ) মাধ্যম থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ, উক্ত সংবাদিককে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসম্মুখে ক্ষমা ও যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা, ইমাম সাহেবের নিরপত্তা নিশ্চিত এবং ইমামকে মাসিক চার দিনের (২০ ওয়াক্ত) ছুটি প্রদান- এই ৪ দফা দাবি জানিয়ে আগামী শুক্রবারের মধ্যে ব্যবস্থাগ্রহনের জন্য জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

এছাড়াও মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামান বরাবর উক্ত সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার বশেমুরবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে নিয়ে জাতীয় দৈনিক যুগান্তরে ১২নং পাতায় ‘বেতন নিয়ে নামাজ পড়ান না বশেমুরবিপ্রবির ইমাম’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ করেন যুগান্তরের বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি শেখ আব্দুর রহিম। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ ও পোস্টে ছড়িয়ে পড়লে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। 


সর্বশেষ সংবাদ