ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে থমথমে পবিপ্রবি (ভিডিও)

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি  © সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শাখা ছাত্রলীগের উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ এখনো থেমে থেমে চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ। মিছিলে এক পক্ষের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্যাম্পাসের আশেপাশে স্থানীয় পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।

অবস্থা বেগতিক দেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি শুরুতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দুপক্ষের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু উভয় পক্ষের মাঝে মীমাংসার চেষ্টা করেন।

এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের বাগবিতণ্ডা হাতাহাতিতে রুপান্তরিত হয়। পরে এক পক্ষ অপর পক্ষের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরবর্তীতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সন্ধ্যা থেকে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কমিটিকে ঘিরে আবারও উত্তাল পবিপ্রবি

আহতদের মধ্যে কৃষি অনুষদের সোহেল রানা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের জাহিদ হাসান, কৃষি অনুষদের সানিউল ইসলাম, কৃষি অনুষদের জয়, কৃষি অনুষদের রাফসান প্রমুখ। গুরুতর আহত কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে দুই গ্রুপ অবস্থান করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম সাগর বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাকে এবং মেহেদী হাসান তারেককে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করেছেন। আমি এবং সাধারণ সম্পাদক সবাইকে নিয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাই।

‘‘কিন্তু তারা আমার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ১৪ ডিসেম্বর এবং ১৬ ডিসেম্বর আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে। আজ রাতে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বহিরাগতদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ওপর হামলা করলে আমাদের ১০ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সন্তোষ কুমার বসু বলেন, ছাত্রলীগের কমিটির দৌড়ে অনেকেই থাকে কিন্তু সবাই তো পদ পায় না। যারা পদ পেয়েছে এবং যারা পায়নি তাদেরকে আমরা একত্রে কাজ করার জন্য বলেছি। কিন্তু আজ উভয়পক্ষ সংঘর্ষে  জড়ায়।


সর্বশেষ সংবাদ