ব্রিজ থেকে ফারদিনের পড়ে যাওয়ার শব্দ পেয়েছি: ডিবি প্রধান

  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। আজ বুধবার রাতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, বিভিন্ন আলামত পর্যবেক্ষণ করে ফারদিন আত্মহত্যা করছেন বলে মনে হয়েছে। এটি একটি সুইসাইডাল ঘটনা। ঘটনার দিন রাত ২টা ৩৪ মিনিটে ডেমরার সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে পানিতে পড়ার  শব্দ পেয়েছি।

ব্রিফিংয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, আমার ফারদিনের মানসিক অবস্থা, বিভিন্ন জায়গায় চলাচল এবং আমরা যে সেলটা দেখলাম সবর্শেষ সে ব্রিজের মাঝামাঝি ছিলেন এবং সেখান থেকে আচ্ছাভাবে নিচে একটা শব্দ হয়েছে বা পানির একটা শব্দ হয়েছে। সেটা আমরা ব্রিজ থেকে পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে এটা একটা সুইসাইডাল ঘটনা। 

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ফারদিন রামপুরা ব্রিজ থেকে কেরাণীগঞ্জ ব্রীজের কাছে গেলেন। সে সময় তিনি একাই ছিলেন। তার সঙ্গে কেউ ছিলেন না। তারপর ঘুরাঘুরি করে আসলেন জনসন রোড তারপর গুলিস্থানে। সেখান থেকে রাত ২টার সময় গেলেন যাত্রাবাড়িতে, সেখান থেকে ২টা ৭ কিংবা ১০ মিনিটে উঠলেন লেগুনাতে। এরপর লেগুনা তাকে নিয়ে গেলেন সুলতানা কামাল ব্রিজে। সেতো চনপাড়ার দিকে যায়নি। সিসিটিভিতেও আমরা সেটা দেখিয়েছি।

“সুলতানা কামাল ব্রিজে রাত ২টা ৩৪ মিনিটে একটা শব্দ পানিতে পড়েছে এবং ওই সময় তার মোবাইল ফোন পর্যালোচনা করেছি এবং সে ওই সময় ওখানে থাকার কথা। তাকে যদি কেউ হত্যা করে থাকে তাহলে কিছু আলামত থাকবে। সে আলামতটি কিসের? কাপড় কিংবা শরীরে কোন আঘাতে চিহ্ন থাকবে এবং সুরতাহাল প্রতিবেদনে লক্ষ্য করবেন কোথাও কিন্তু বলেনি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাছাড়া তার শার্ট-বোতাম হুবহু একই রকম ছিল।”

গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা হয়।

ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। মামলার পর গত ১০ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ