বৃষ্টি উপেক্ষা করে অন্দোলন অব্যাহত

  © টিডিসি ছবি

আজ বুধবার রাজধানীতে সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকরা। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচিতে গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে সেখানে অবস্থান করছেন সারা দেশের কয়েকশ শিক্ষক।

সব মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ সরকারি করার ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষকরা এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নেতারা বলছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। একই কারিকুলামে একই সিলেবাসে পাঠদান করিয়েও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের পার্থক্য অনেক। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধানদের থেকে এক ধাপ নিচে বেতন দেয়া হচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এই বৈষশ্য দূর করতে হবে।

সন্ধ্যায় সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন করে এলেও তাদের দাবি উপেক্ষিত রয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে আন্দোলন করলেও তাতে শুধু দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। তা আর বাস্তাবায়ণ করা হয়নি। এ কারণে ঘোষণা না আসা পর্যন্ত প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

সরকারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা, এ প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষকরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।

কর্মসূচির কলেবর বৃদ্ধিতে প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সব শিক্ষকরা আন্দোলনে যোগ দিতে পারেন বলে তিনি জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ না করলে প্রয়োজনে আমাদের কর্মসূচির কলেবর আরও বৃদ্ধি করা হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সব শিক্ষকরা আন্দোলনে যোগ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে সবাই বসে সেখান থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ