আলাদা গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন ইনডেক্সধারীরা

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন প্রভাষক মো. সরোয়ার
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন প্রভাষক মো. সরোয়ার  © সংগৃহীত

আলাদা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহারের সঙ্গে দেখা করেছেন ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রতিমন্ত্রীকে দ্রুত প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান তারা।

সম্প্রতি সচিবালয়ে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণবিজ্ঞপ্তি ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো. সরোয়ারের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় আলাদা গণবিজ্ঞপ্তির দাবি সম্বলিক স্মারকলিপি প্রতিমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘তরুণ মেধাবী শিক্ষকরা বাড়ি থেকে ৫০০- ৮০০ কিলোমিটার দূরে নিয়োগ পেয়ে চরম হতাশায় দিনযাপন করেছেন। আমাদের এত দূরে প্রতিষ্ঠান চয়েজ দেওয়ার অন্যতম কারণ হলো০ ৭ নং ধারা, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ ছিল। কিন্তু ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির পূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রের আমাদের সেই সুযোগ বন্ধ করে দেয়। এত স্বল্প বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাসা ভাড়া দিতেই বেতন শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা নিজ জেলার বাইরে নিয়োগপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা মানসিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় আমরা চরম হতাশা নিয়ে পাঠদান করছি। মানসিক স্বস্তি নিয়ে পাঠদান করতে না পারলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা পাবে না, যা নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম অন্তরায়।’ 

স্মারকলিপিতে তারা আরও বলেন, ‘আমরা নিজ উপজেলায় ফিরতে চাই। নিজ গ্রামে ফিরতে চাই। আমরা কোন শিক্ষক শহরে যেতে চাই না। আমাদের নিজ জেলায় যাওয়ার সহজ সমাধান হলো- এনটিআরসিএ কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের জন্য আলাদা গণবিজ্ঞাপ্তির ব্যবস্থা করা। কঠিন শর্ত দিয়ে হলেও আমরা এই সুযোগ চাই। এর ফলে সরকারের কোন অর্থ ব্যয় হবে না বরং আয় হবে এবং দুর্নীতিমুক্তভাবে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের একটি ব্যবস্থা চালু হবে। এনটিআরসিএ কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সমস্যাবলি বিবেচনাপূর্বক শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের আলাদা গণবিজ্ঞপ্তির ব্যবস্থা করলে অসংখ্য অসহায় শিক্ষক নিজ পরিবারের কাছাকাছি যেতে পারবে।’

 

সর্বশেষ সংবাদ