ভুল চাহিদা: এনটিআরসিএ’র সুপারিশে বেতন ফেরত পাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ভুল চাহিদা দিয়েছিলেন রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ইকলিমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মমিনুল ইসলাম মন্ডল। ভুল চাহিদা দেওয়ায় তার তিন মাসের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশে বন্ধ থাকা তিন মাসের বেতনের অর্থ ফেরত পেতে যাচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এমপিও আপিল কমিটির সভায় প্রধান শিক্ষক মো: মমিনুল ইসলাম মন্ডলের বেতন ফেরত দেওয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে।

জানা গেছে, ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষক চাহিদা প্রদানের ফলে সুপারিশকৃত শিক্ষকের এমপিওভুক্তিতে জটিলতার কারণে প্রধান শিক্ষকের ০৩ (তিন) মাসের বেতন ভাতার সরকারি অংশ কর্তনের ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি দেয়। চিঠির প্রেক্ষিতে মাউশি কর্তৃক তার ৩ (তিন) মাসের বেতন কর্তৃক করা হয়। পরবর্তীতে কর্তনকৃত বেতন ফেরত পাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক আবেদন করেন। এর আগে এনটিআরসিএ’র কারণ দর্শানোর জবাব দেন প্রধান শিক্ষক।

২০২১ সালের ১১ অক্টোবর এনটিআরসিএতে লিখিত জবাব দাখিল করেন প্রধান শিক্ষক মমিনুল। একই বছরের ১৭ নভেম্বর এনটিআরসিএ’র শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তদন্ত কর্মককর্তা এ বিষয়ে সুপারিশ দাখিল করেন। ওই সুপারিশে বলা হয়, "শূন্য পদের চাহিদা (ই-রিকুইজিশন) প্রেরণকালে নবসৃষ্ট পদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে ২০১৮ এর জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় সুনির্দিষ্টভাবে কোন স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় উক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান অন্যান্য পদের ন্যায় নবসৃষ্ট পদেও চাহিদা প্রদান করেন। নবসৃষ্ট পদের বিষয়ে এমপিও নীতিমালা ২০১৮ তে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় নবসৃষ্ট পদ বিষয়ে ভুল চাহিদা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলে প্রতীয়মান হয়”।

তদন্ত কর্মকর্তার সুপারিশের বিষয়টি বিবেচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। সেই সুপারিশের আলোকে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ইকলিমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম মন্ডলের ০৩ (তিন) মাসের বেতন ভাতাদি'র সরকারি অংশ ফেরৎ প্রদান করা যেতে পারে মর্মে সুপারিশ করল মন্ত্রণালয়। 

 

সর্বশেষ সংবাদ