বিজয় ৭১ হল নয়, পবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু হলের নামফলক প্রতিস্থাপন করেছেন শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ AM , আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় ৭১ হলের নাম পরিবর্তন করে বিজয়-২৪ করা হয়েছে বলে ফেসবুকে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ অনেকে এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তবে তাদের এ দাবি সত্য নয়। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ভেঙে নতুন নাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
হলটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘বিজয়-২৪’। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে আগের নামফলক ভেঙে বিজয়-২৪ হল নামের নতুন ব্যানার টানিয়ে দেন। সেই ছবি পোস্ট করে ইমারান এইচ সরকার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিজয়-৭১ হলের নাম বদলে ফেলল রাজাকারের বাচ্চারা? তার মানে ওদের মূল শত্রু একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ?’
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দিদার মো. নিজামুল ইসলাম একই ছবি পোস্ট করে বলেছেন, ‘বিজয়ের মাসে বিজয়-৭১ হলের নাম পরিবর্তন করে বিজয়-২৪ করা হলো। তাহলে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ একাত্তরের চেতনা।’
তাদের পোস্ট করা ছবিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের নয়, পবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ভেঙে ‘বিজয়-২৪’ নামকরণ করার সময়ের বলে জানা গেছে। পবিপ্রবির পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার সব কাজকে জায়েজ করতেন তার বাবর নাম জুড়ে দিয়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আমরা এ ফ্যাসিস্টের প্রতীককে উপড়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। সেই সঙ্গে জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহত ভাইদের স্মরণে বিজয়-২৪ নামকরণ করেছি।’
আরো পড়ুন: পবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু হলের নামফলক ভেঙে নতুন নাম দিলেন শিক্ষার্থীরা
আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের শিক্ষার্থী নুরুন্নবী সোহান বলেন, ‘আমাদের চূড়ান্ত বিজয় এসেছে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে। সামনে আমাদের অনেক কাজ বাকি। আমরা যেন জুলাইকে না ভুলি। সব কাজ যেন জুলাইয়ের চেতনায় করতে পারি, তাই আমরা শিক্ষার্থীরা এই হলের নাম দিয়েছি বিজয়-২৪ হল।’
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে অনেক সরকারি স্থাপনার নাম বিজয়-২৪ রাখা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু হলের নতুন নাম বিজয়-২৪ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গত ১৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হলের নাম দাপ্তরিকভাবে পরিবর্তনের জন্য আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরসংবলিত একটি আবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাপ্তরিকভাবে নাম পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছে।