তেলের বদলে মিলছে বিয়ার, আবার ফিরে আসছে বিনিময় প্রথা!
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২২, ০২:১০ PM , আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২২, ০২:১০ PM
আবারো কি বার্টার সিস্টেম বা পণ্য বিনিময় ব্যবস্থায় হাঁটছে বিশ্ব! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বেড়েছে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দাম। এ অবস্থায়, জার্মানিতে সূর্যমুখী তেলের বদলে মিলছে বিয়ার। দেশটিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পণ্যের বিনিময়ে পণ্যের পুরোনো রীতি।
একসময় মানুষ তার প্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রী নিজেরাই উৎপাদন ও ভোগ করতো। সভ্যতার বিকাশে, মানুষের প্রয়োজনীয় সকল পণ্য-দ্রব্য উৎপাদন অসম্ভব হয়ে পড়ে। শুরু হয় হয় বিনিময় প্রথা।
রান্নার তেলের ঘাটতি মেটানোর জন্য একটি অভিনব উপায় খুঁজে পেয়েছে জার্মানির একটি পাব। বিয়ারের দাম সূর্যমুখী তেল দিয়ে পরিশোধের সুযোগ করে দিয়েছে মিউনিখের গাইজিঙ্গা ব্রুয়ারি পাব কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কাল থেকে রাত ৮টার পর দোকান ও মার্কেট বন্ধ
বিশ্বের ৮০ শতাংশ সূর্যমুখী বীজের তেল রপ্তানি করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ফেব্রুয়ারিতে দেশ দুটি সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে জার্মানিসহ ইউরোপের বেশির ভাগ দেশে সরবরাহ কমে যায়।
মিউনিখের দক্ষিণে অবস্থিত ব্রুহাউস অ্যান্ড পাব গাইজিঙ্গা ব্রুয়ারির ব্যবস্থাপকরা মনে করছেন, ঘাটতি মোকাবিলার উপায় তারা পেয়ে গেছেন। তাদের পাবে যে কেউ এক লিটার বিয়ার কিনলে তার দাম এক লিটার সূর্যমুখীর তেলে পরিশোধ করতে পারবে।
পাব ম্যানেজার এরিক হফম্যান বলেন, আমাদের রান্নাঘরে তেল ফুরিয়ে গেছে। সে কারণেই এখন আমাদের উদ্ভাবক হতে হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জার্মানির সুপারমার্কেটে রেপসিড ও সূর্যমুখীর তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। উপায় না পেয়ে অনেক দোকান গ্রাহকপ্রতি বোতলের সংখ্যা নির্ধারণ করছে।
হফম্যান বলেন, তেল পাওয়া খুব কঠিন। আপনার যদি সপ্তাহে ৩০ লিটার প্রয়োজন, তার বদলে যদি ১৫ লিটার পান তবে ইচ্ছা করলেই আপনি স্নিটেজেল (জার্মানির ঐতিহ্যবাহী খাবার) ভাজতে পারবেন না। এ পর্যন্ত গ্রাহকরা ৪০০ লিটার অদলবদল করেছে।