‘বিদেশী কোম্পানিকে গ্যাস ইজারা দেয়া চলবে না’

অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাসদের মানববন্ধন
অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাসদের মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

ভোলার গ্যাস বিদেশী কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে ইজারা দেয়া চলবে না। দেশীয় মালিকানা নিশ্চিত করে দেশীয় কোম্পানি দিয়ে গ্যাস উত্তোলন এবং বরিশাল বিভাগে গ্যাসভিত্তিক কারখানা নির্মাণ করে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা কমিটি।

এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে হরতাল ডেকে পুরো বিভাগ অচল করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী।

আজ বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় নগরীর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়কের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাসদ জেলা কমিটির আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে দলটি। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ডা. মনীষা বলেন, ভোলার গ্যাসের উপর দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের অধিকার সবচেয়ে বেশি। কোন প্রকার অশুভ চুক্তির মাধ্যমে বিদেশী কোম্পানীর হাতে ভোলার গ্যাস তুলে দেওয়া যাবে না।

বরিশাল জেলা কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হাবীব রুমনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীর হোসেন দিদার, শহীদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ মাহিন, কৈশিক বেপারী প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, ২০১৭ সালে ভোলারদ্বিতীয় গ্যাসক্ষেত্রটি আবিস্কার করে বাংলাদেশের বাপক্সে। তারা গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সক্ষম হলেও আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি, গ্যাস উত্তোলনে বিদেশি কোম্পানি গ্যাজপ্রমের সাথে উচ্চমূল্যে চুক্তির নীল নকশা করছে সরকার।

অথচ বিদেশী কোম্পানিকে দিয়ে এই গ্যাস উত্তোলনে খরচ হবে দ্বিগুণ। বিদেশী কোম্পানীর সাথে চুক্তি স্পষ্টভাবে দেশের সম্পদ লুটপাটের এক ঘৃন্য পাঁয়তারা এবং জাতীয়ভাবে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথে বড় বাধা।

বক্তারা আরও বলেন, গ্যাস উত্তোলনের কাজ গ্যাস আবিস্কারের তুলনায় সহজ।বাপেক্স এই কাজটি দীর্ঘদিন থেকে দক্ষতার সাথে করে যাচ্ছে। যেখানে বাপেক্স একটি গ্যাসকুপ খননে সর্বোচ্চ ৮০ কোটি টাকা খরচ করে সেখানে গ্রাজপ্রমের সাথে একই কাজ ১৮০ কোটি টাকায় চুক্তি করা হচ্ছে।

যেখানে বাপেক্স প্রতিবছর ৩/৪টি কুপ খনেনর ক্ষমতা রাখে, সেখানে কোনভাবেই বিদেশী কোম্পনীর সাথে লুটপাটের চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না। অবিলম্বে গ্যাজপ্রমের সাথে চুক্তি বাতিল করে দেশীয় কোম্পানী বাপেক্স-প্রেট্রো বাংলার সাহায্যে ভোলার গ্যাস অনুসন্ধান-উত্তোলন করতে হবে।

এর ব্যত্যয় হলে বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশ, লংমার্চ এবং প্রয়োজনে হরতালের দিয়ে দাবি আদায় করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ