৫০ হাজার পিপিই, ১০ হাজার টেস্টিং কিট দেবে গ্রামীণফোন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২০, ০৫:০৬ PM , আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০, ০৫:০৬ PM
করোনার চিকিৎসায় সহায়তা হিসেবে ৫০ হাজার মেডিকেল গ্রেড মানসম্পন্ন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী বা পিপিই (সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক পোশাক, এন৯৫ মাস্ক, গ্লাভস ও গগলস) এবং ১০ হাজার পিসিআর টেস্টিং কিট দেবে গ্রামীণফোন। এ সব মেডিকেল সরঞ্জাম স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে নির্বাচিত হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল)) গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স মুহাম্মদ হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুরু থেকে এটুআই ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে গ্রামীণফোন।
বিজ্ঞপ্তিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের মানুষের এই দুঃসময়ে আমাদের সরকারকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের এই ইতিবাচক উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমি বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগটি জাতীয় সঙ্কটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে সর্বাত্মক সাহায্য করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও অনুপ্রাণিত করবে।’
একইভাবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘এই সঙ্কটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন আমাদের পাশে থেকে সহায়তা করতে চেয়েছে। আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই তারা কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে যারা সামনে থেকে কাজ করছেন তাদের সুরক্ষার জন্য জন্য পিপিই সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে একটি ভালো সংখ্যক পিসিআর টেস্টিং কিট সংস্থান করে দেয়ার উদ্যোগটিও খুবই প্রশংসনীয়। এই ক্রান্তিকালে গ্রামীণফোনের এ সকল উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ভাইরাসটি যেন ছড়াতে না পারে সে লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই সময় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে এসে করোনা প্রতিরোধে এক সঙ্গে কাজ করার।’
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যক্তিগত এ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। বিশ্বের কোনো দেশই এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল না। এই মহামারি মোকাবিলায় আমি সরকারি-বেসরকারি সবাইকে এগিয়ে এসে এক সঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় এই জরুরি পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। জনগণের জন্য প্রয়োজনে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত আছি। এই পরিস্থিতিতে জনগণের সঙ্গে থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপই সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশব্যাপী এখন পর্যন্ত ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।