এনজিওগুলো বেশি সুদ নিচ্ছে গরিবের কাছ থেকে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, গরিব মানুষের কাছ থেকে বেশি সুদ নিচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)। এটি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) ই-সেবা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বলেন।

গভর্নর বলেন, নগদ টাকার বিনিময় কমিয়ে আনলে ক্ষুদ্রঋণে স্বচ্ছতা বাড়বে। সেবা করার জন্য এনজিও প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি, তবে কেন উচ্চ চার্জ নেওয়া হয়? ক্ষুদ্রঋণে নগদ অর্থের ব্যবহার কমাতে হবে। লাভের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, সুদহার কমানোর বিকল্প নেই। দেশে এমআরএ নিবন্ধিত প্রায় ৮৮১টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৭৪৭টি প্রতিষ্ঠান ২২ হাজার শাখার মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এনজিওগুলোর ঋণ আদায়ের হার ৯৮ ভাগের বেশি। তিন কোটি ৫২ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণের আওতায় রয়েছে। পরিবারপ্রতি গড়ে চার জন বা প্রায় ১৪ কোটি অথবা ৭৫ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষুদ্রঋণে সম্পৃক্ত।

আরো পড়ুন: পশুচিকিৎসা করবেন দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ

ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (সিডিএফ) তথ্যমতে, গ্রামীণ অর্থায়নের প্রায় ৭৩ শতাংশ আসে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে। বিতরণকৃত ঋণের ৪০ শতাংশ কৃষি এবং ৩১ শতাংশ বিনিয়োগ হয় ক্ষুদ্র উদ্যোগে। জিডিপিতে এর অবদান ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

সিডিএফের মতে, ঋণের ধারাবাহিক সরবরাহ না থাকলে দেশে বিদ্যমান দারিদ্র্য হারের সঙ্গে আরও ১৪ শতাংশ দারিদ্র্য যুক্ত হতো। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি বা প্রতি মাসে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে। এর সিংহভাগই গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতিতে দেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ