বেনাপোল স্থলবন্দর

গাড়ির চেসিস আমদানি কমেছে ৯৯ শতাংশ, রাজস্ব আদায়ে বড় ধাক্কা

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গাড়ির চ্যাসিস ও যন্ত্রাংশ আমদানি কমেছে
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গাড়ির চ্যাসিস ও যন্ত্রাংশ আমদানি কমেছে  © টিডিসি ফটো

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গাড়ির চেসিস ও যন্ত্রাংশ আমদানি পাঁচ বছরে ৯৯ শতাংশ কমে গেছে। ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারি, বৈশ্বিক ও দেশীয় অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং বেনাপোল বন্দরের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এর মূল কারণ।

বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে তিন বছরে বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছিল রেকর্ড ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৭১টি গাড়ির চেসিস। কিন্তু এরপর থেকেই আমদানিতে ব্যাপক পতন শুরু হয়। ২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত পাঁচ বছরে আমদানিকৃত চেসিসের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় মাত্র ১ হাজার ৫২৮টিতে।

২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত পাঁচ বছরে আমদানিকৃত চেসিসের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় মাত্র ১ হাজার ৫২৮টিতে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউসের জন্য ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আগের অর্থবছরে ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আদায় হয়েছিল ৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম হাউসের জন্য ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আগের অর্থবছরে ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আদায় হয়েছিল ৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। তবে ধারাবাহিকভাবে গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানি কমতে থাকায় দীর্ঘমেয়াদে রাজস্ব আহরণে চাপ বাড়ছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বলেন, ‘উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্যের আমদানি কমলে রাজস্বও কমে যায়—এটা স্বাভাবিক। কয়েক বছর ধরে গাড়ি ও মোটর পার্টসের আমদানি কম থাকায় কাস্টমসে রাজস্ব আদায় ব্যাহত হচ্ছে।’

যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘করোনার পর গাড়ির বাজারে স্থবিরতা দেখা দেয়। অনেক আমদানিকারক বিকল্প বন্দর ব্যবহারে ঝুঁকেছেন, যার ফলে বেনাপোলের আমদানিতে ধস নেমেছে।’

আরো পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফাঁদ, ক্লিক করেই হারাতে পারেন সর্বস্ব

বাজার চাহিদা কম থাকায় কোম্পানিগুলো আমদানি কমিয়ে এনেছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাংগস মোটরস’র যশোর অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার শুভংকর বিশ্বাস। তিনি বলেন, এর ফলে ব্যবসাও বেশ নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল হাসান বলেন, ‘করোনার পর গাড়ির আমদানি কমেছে। তবে চলতি অর্থবছর থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছি। বন্দর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে ইতোমধ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।’

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, ‘বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প চলমান। আমরা সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করে আমদানি-রফতানির গতি ফেরাতে কাজ করছি।’


সর্বশেষ সংবাদ