রুয়েট শিক্ষকের ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে ইউজিসি

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে। সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যাংকে রেখেই প্রকল্প সমাপ্তি প্রতিবেদন দেওয়ার পর এ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। রুয়েটের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক পদে থেকে এ অনিয়ম করেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক বিভাগ চালুকরণ সাব প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ছিল ২৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। এতে ৭ কোটি টাকার বেশি অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তিন সদস্যের দল রোববার (৫ জুন) রুয়েটে যান। তারা বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

কমিটিতে রয়েছেন ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ড. ফেরদৌস জামান, উপ-পরিচালক রোকসানা লায়লা ও উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আব্দুল আলিম।

জানা গেছে, ‘পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগ চালুকরণের লক্ষ্যে অবকাঠামোগত ও ল্যাবরেটরি সুবিধাদি সৃষ্টিকরণ’ শীর্ষক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অধীন প্রকল্পের আওতায় রুয়েটের গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালুকরণে ২৬ কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এটি শেষ হয় ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট। তখন ব্যাংকে ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৪ টাকা ছিল। সেখান থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়।

এরপরও ৭ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার ৫৮১ টাকা ছিল। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ৪৯টি চেকের মাধ্যমে ৭ কোটি ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭২৮ টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। এখন ওই হিসাবে ৫০ লাখ ৩৬ হাজার ৮৫৯ টাকা রয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্য ও ইউজিসির উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) রোকসানা লায়লা বলেন, প্রকল্পটি শেষ হয়েছে বলে প্রতিবেদন দিলেও অভিযোগ পাওয়ায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় ইউজিসি। ব্যাংক থেকে অর্থ সরিয়ে নেওয়া, তথ্য গোপন করে রিপোর্ট দাখিল, প্রকল্প শেষে চেক ও অব্যবহৃত টাকা জমা না দেওয়া, হিসাব বন্ধ না করাসহ নানা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরো পড়ুন: চার বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে ৪ বুয়েট অধ্যাপক

এ অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যাপক আব্দুল আলীম সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, তিনি কোনো অনিয়ম করেননি, তাকে চিঠিও দেয়া হয়নি। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালককে চিঠি দেয়া হয়েছে। তিনি এখন আর ওই পদে নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, আমার দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বাস্তবায়ন করা হয় প্রকল্পটি। এতে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করা ঠিক নয়।


সর্বশেষ সংবাদ