‘কাট-আউট’ পদ্ধতিতে ফাঁস হয় নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন

রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস
রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস  © ফাইল ফটো

রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ইতোমধ্যে পরীক্ষাও বাতিল করেছে কতৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্কর) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আজিজুল হক।

জানা গেছে, প্রশ্ন ফাঁসে যারা জড়িতরা ‘কাট-আউট’ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছেন। সাধারণত জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত ব্যক্তিরা এ পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজেদের পরিচয় ও তথ্য গোপন করে। ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসে একই কৌশল খাটানো হয়েছে। চক্রের সবার একই কাজ হলেও তারা একে অন্যকে চেনেন না। অনলাইনে ছদ্মনামে যোগাযোগ করে কে কী দায়িত্ব পালন করবেন, তা ঠিক করে নেন তারা। তদন্ত-সংশ্নিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

হুমায়ুন কবির বলেন, ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পাঁচটি ব্যাংকের পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় কোনো ধরনের অস্বচ্ছতা আমরা চাই না। যারা জড়িত, তারা বিচারের আওতায় আসবে। পুলিশের তদন্তে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে। প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারে আহ্‌ছানউল্লা ইউনিভার্সিটির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের হাতে সম্প্রতি আটক প্রশ্ন ফাঁসকারী জালিয়াত চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। কঠোর নজরদারির কারণে প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বাদ দিয়ে নতুন নতুন সুবিধা সম্বলিত বিশেষায়িত বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করছে তারা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) উপ-কমিশনার (ডিসি-উত্তর) শেখ নাজমুল আলম জানান, আমরা জানতে পেরেছি, প্রশ্ন জালিয়াত চক্র ফেসবুক ব্যবহার থেকে সরে এসেছে। জঙ্গিরা যে অ্যাপ ব্যবহার করে, তারা সেই ‘টেলিগ্রাম’ অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে ‘টেলিগ্রাম’, ‘উইকার’, ‘ত্রিমা’ নামের অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে থাকে। এসব অ্যাপ-এ তথ্য আদান-প্রদানের নির্ধারিত সময় পর অটোমেটিক সেগুলো মুছে যায়। এছাড়া গ্রুপ তৈরি করে মেম্বারদের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করা যায়। এইসব অ্যাপ-এ নজরদারি করা খুব সহজ হয় না বলে জঙ্গিরা সেগুলো ব্যবহার করে। তাই প্রশ্ন ফাঁস রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নজরদারি শুরু করা পর জঙ্গিদের পথ অনুসরণ করে জালিয়াত চক্র ‘টেলিগ্রামে’র মতো নানান অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ