অ্যাসাইনমেন্ট ফি’র নামে কিশোরগঞ্জে চলছে চাঁদা বাণিজ্য

 কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ  © ফাইল ছবি

শিখন ফল মূল্যায়নের অ্যাসাইনমেন্ট ফি’র নামে চাঁদা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জের ৫৩নং খাসালা গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক কবির হোসেনের নেতৃত্বে ৫২৫ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা করে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, এ ধরনের বিষয়ে ‘ফি’র নামে চাঁদা আদায় গর্হিত কাজ।

মঙ্গলবার দুপুরে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার এই বিদ্যালয় সরেজমিন পরিদর্শনকালে যুগান্তরের এ প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে একে একে কেটে পড়েন সব শিক্ষক। কিন্তু খবর পেয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে হাজির হন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

মঙ্গলবার এ অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধানকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ এক সদস্যকে এনে হাজির করেন। এ সময় দরিদ্র রং মিস্ত্রি শফিকুল ইসলামের ছেলে সাকিব এবং দিনমজুর সেলিমের মেয়ে নোহা জানায়, ১৩০ টাকা ফি দেওয়ার পর তাদের শিখন ফি জমা নেওয়া হয়েছে।

স্কুল কমিটির সভাপতি আলমগীর হোসেন এবং সদস্য আরিফুল হক মুরাদ ফি’র নামে অর্থ আদায়ের জন্য বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কবির হোসেনকে দায়ী করেন। এ ঘটনা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তিনি একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে (এটিইও) পাঠিয়ে সত্যতা যাচাই করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, করোনাকালে লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় সম্পৃক্ত রাখতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ফি-বিহীন এমন উদ্যোগ নেয়। কিন্তু শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা উপেক্ষা করে গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মেতে উঠেন অ্যাসাইনমেন্ট বাণিজ্যে। এ ব্যাপারে জানতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কবির হোসেনের সেলফোনে বহুবার রিং দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বণিক বলেন, অ্যাসাইনমেন্ট বা ওয়ার্কিং শিট জমা নেওয়ার নামে ফি দাবি করা চাঁদাবাজি ছাড়া কিছুই না। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ