পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

কলেজ অধ্যক্ষ
কলেজ অধ্যক্ষ  © সংগৃহীত

জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. হুমায়ুন কবির মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার (৭ জুন) বিকেলে পাবনা সদর থানায় দুদকের পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা, জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া আবেদন ও ভাউচার তৈরি করে অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর মজুমদার নিজেই অনুমোদন করে কলেজের ছাত্র সংসদ তহবিল, উন্নয়ন তহবিল, বিবিধ তহবিল এবং ভর্তি কার্যক্রম ও ফরম ফিলাপ তহবিলের ৫৬ লাখ ৮ হাজার ৯৮৬ টাকা অগ্রণী ব্যাংকের কলেজ গেট শাখা থেকে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, কলেজটির ছাত্র সংসদের কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও অধ্যক্ষ ছাত্র সংসদ তহবিল থেকে পাঁচজন ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মচারীর নামে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে ১৫টি চেকের মাধ্যমে ৫ লাখ ২ হাজার টাকা, উন্নয়ন তহবিল থেকে কমিটির সুপারিশ ও কোটেশন ছাড়াই ভাউচার করে ৩৮টি চেকের মাধ্যমে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৮ টাকা এবং বিবিধ তহবিল থেকে ভুয়া আবেদন ও ভাউচারের মাধ্যমে ৩৭টি চেকের মাধ্যমে ১৩ লাখ ৪ হাজার ৪২ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

এছাড়াও উন্নয়ন তহবিলের বেসরকারি আদায় তহবিলের দুটি হিসাব থেকে ২৮টি চেকের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৩ হাজার ৭০৬ টাকা আত্মসাতের প্রমাণও মিলেছে বলে দুদক অভিযোগ এনেছে। 

২০১৭ সাল থেকে কয়েক দফা তদন্তে এসব দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে এ মামলা করা হয়।

অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আরও বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত চলছে। মামলার প্রয়োজনে তাকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান বাদী মোস্তাফিজুর রহমান।

এদিকে, কলেজ অধ্যক্ষ ড. হুমায়ুন কবির মজুমদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে এ মামলা হয়েছে তা আমি জানি না। ইতিপূর্বে দুদক থেকে আমার কাছে কিছু তথ্য-প্রমাণ চেয়েছিল, তা যথাযথভাবে তাদের দিয়েছি। আর আমার জ্ঞাতসারে আমি কোনো দুর্নীতি বা জালিয়াতি করিনি।