ধর্ষণের শিকার ১৪ বছরের কিশোরীর সন্তান প্রসব

প্রতীকি ছবি
প্রতীকি ছবি

আপন চাচার হাতে ধর্ষণের শিকার ১৪ বছরেরে এক কিশোরী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লার লাকসামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ওই কিশোরী ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের হেসিয়ারা গ্রামে। অভিযুক্ত ধর্ষক মেয়েটির আপন চাচা সোহেল (৪৫) একই গ্রামের আবদুল মন্নানের ছেলে।

বর্তমানে সোহেল কারাগারে রয়েছেন। কিশোরির পিতা তার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভাই সোহেলকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছিলেন। গত ১৪ জুন পুলিশ আসামি সোহেলকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

স্থানী সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির মা দীর্ঘদিন থেকে ডায়াবেটিস রোগে শয্যাশায়ী ছিলেন। মা বিভিন্ন সময় ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে চলে যেতেন। বাড়িতে থাকলে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকতেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চাচা সোহেল ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে আসছিল। গত ৪ মে মেয়েটির মা মারা যাবার পর বাড়ির মহিলারা ঘরে এসে মেয়েটির শারিরীক অবস্থার পরিবর্তন দেখে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি টের পায়। পরে সোহেলের স্ত্রী মেয়েটির অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ক্লিনিকে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা এ সময়ে বাচ্চা নষ্ট হলে মেয়ের জীবনহানির আশঙ্কায় বাচ্চা নষ্ট করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আখতার হোসেন জানান, কিশোরীর সন্তান প্রসবের বিষয়টি জানতে পেরেছি। মামলার পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে শিশুটির ডিএনএ টেস্ট করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ