ভারতীয় ট্রাকচালকের ব্যাগ থেকে সাইবেরিয়ার ভিসাযুক্ত ২০ বাংলাদেশি পাসপোর্ট জব্দ
- বেনাপোল প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৪২ AM , আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৪ PM

বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় একটি ট্রাকচালকের ব্যাগ থেকে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে বন্দরের নিরাপত্তা বাহিনী। প্রতিটি পাসপোর্টেই রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলের ভিসা লাগানো ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চালকের ব্যাগ তল্লাশি করে এসব পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। ট্রাকচালককে আটক করে তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভারত থেকে আসা WB-25F-4310 নম্বরের ট্রাকটি বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে প্রবেশ করলে সন্দেহজনকভাবে থামিয়ে তল্লাশি করা হয়।
আটক ট্রাকচালকের নাম বোচারাম প্রামাণিক। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার কালোপুর বেলের মাঠ গ্রামের বাসিন্দা।
বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা আনসার বাহিনীর প্লাটুন কমান্ডার হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কাছে আগেই খবর ছিল যে ভারত থেকে একটি ট্রাকে কিছু বাংলাদেশি পাসপোর্ট চালকের মাধ্যমে পাঠানো হবে। সে অনুযায়ী প্রতিটি ট্রাকে তল্লাশি চালানো হয়। ওই ট্রাকচালকের ব্যাগ থেকে ২০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া যায়। প্রত্যেকটিতেই সাইবেরিয়ার ভিসা লাগানো ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পরপরই বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এই পাসপোর্টগুলো কী উদ্দেশ্যে এবং কারা পাঠিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চালকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্র এই পাসপোর্টগুলো ব্যবহার করে রাশিয়ার সাইবেরিয়া হয়ে ইউরোপে পাঠানোর পরিকল্পনা করছিল। এর আগেও বিভিন্ন সময় এমন কৌশলে পাসপোর্ট পাচারের চেষ্টা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় বন্দর নিরাপত্তা বিভাগ ছাড়াও ইমিগ্রেশন পুলিশ, পাসপোর্ট বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা তদন্তে নেমেছে। জব্দ করা পাসপোর্টগুলো আসল, নাকি জালিয়াতির মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়েছে, সেটিও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে এর আগেও একাধিকবার পাসপোর্ট ও ভিসা পাচারের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে মানবপাচারের শিকারে পরিণত হওয়া অনেক তরুণ-যুবক বৈধ ভিসায় বিদেশে গিয়েও পরে চরম বিপদে পড়েন। ফলে এই চক্রগুলোকে রোধ করতে নজরদারি ও আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি।