খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালসহ কৃষকদল নেতা আটক, অতপর...

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ বস্তা চাউল জব্দ
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ বস্তা চাউল জব্দ  © সংগৃহীত

পাবনার চাটমোহরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ বস্তা চাউলসহ কৃষকদল নেতা সেলিম হোসেনকে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কৌশলে পালিয়ে যান ওই নেতা।

আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে চাটমোহর পৌর শহরের জারদিস মোড় এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানসহ তাকে আটক করা হয়। সেলিম পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক ও মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, অষ্টমনিষা ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ৩০ বস্তা চাউল একটি অটোভ্যানে করে নিয়ে চাটমোহরে বিক্রি করতে আসেন অষ্টমনিষা ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক সেলিম হোসেন। বিষয়টি গোপনে জানতে পেরে চাটমোহর পৌর শহরের জারদিস মোড় এলাকায় ভ্যানসহ চালের বস্তাগুলো আটক করেন স্থানীয় লোকজন।

চাউলগুলো কোথাকার এবং কোথায় যাবে স্থানীয়দের এমন প্রশ্নে একেক সময় একেক কথা বলেন ওই নেতা। এরপর স্থানীযদের সন্দেহ হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরীকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ওই এলাকা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান কৃষক দল নেতা সেলিম। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জব্দকৃত চাউল দাম নির্ধারণ করে নিলামের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা করেন ইউএনও মুসা নাসের চৌধুরী।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিম হোসেন নিজের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, ‘কার্ডধারীরা আমার কাছে চাউলগুলো বিক্রি করেছে। আমি এই ব্যবসায় নতুন, তাই বুঝতে পারিনি। আমার ভুল হয়ে গেছে।’ পালানোর প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ইউএনও আসার খবর শুনে এবং এলাকার লোকজন ভয় দেখানোর পর আমি সেখান থেকে চলে আসি।’

এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। চাউলগুলো ডিলার কর্তৃক বিক্রি করা হয়নি। চাউলগুলো পার্শ্ববর্তী উপজেলার একটি ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া। যিনি চাউল নিয়ে এসেছেন তাকে পাওয়া যায়নি। পরে নিলামের মাধ্যমে খোলা বাজারে চাউল বিক্রি করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে টাকা জমা করা হয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ