ডিসি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক প্রতারক
- জামালপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:০২ AM , আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:০২ AM

জামালপুরের মেলান্দহে ডিসি ও ওসির সহযোগী পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে সাজ্জাদ হোসেন সাকিব নামের এক প্রতারক গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. রেজাউল করিম মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিন বিকেলে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের হরিপুর পাথালিয়া এলাকা থেকে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে থানায় মামলার বাদী অভিযোগ করতে গেলে তাকে তুলে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে অভিযুক্তের স্বজনরা। প্রতারক ডিসি নামধারী সাজ্জাদ হোসেন সাকিব ইসলামপুর উপজেলার মৌজাজাল্লা পাটানিপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে মাটি কাটার ব্যবসা করেন রেজাউল। মেলান্দহ উপজেলার চিনিতুলা গ্রামের পাশে মরাখাল হইতে কন্ট্রাক্টে মাটি কাটার সময় সাজ্জাদ হোসেন সাকিব ও মনির হোসেন জুইসসহ আরো কয়েকজন ডিসি ও ওসির সাথে সম্পর্ক আছে বলে প্রতি মাসের জন্য টাকা দাবি করে। সেই টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করার পর টাকা দিতে রেজাউল অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে টানা-হেঁচড়াসহ হুমকি দেয় সাকিব। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে বাকিরা পালিয়ে গেলেও সাকিবকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী রেজাউল করিম বলেন, আমরা মাটি কেটে খাই। জুইস নামের এক ব্যক্তি একদিন বললো সপ্তাহে ৩৩ হাজার টাকা দিতে হবে তাহলে ডিসি ও ইউএনও কেউ সমস্যা করবে না। পরে টাকা দিতে রাজি হলাম তবে ডিসির সাথে দেখা করে। পরে সাকিবকে ডিসি সাজিয়ে এনে টাকা চায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা পুলিশকে খবর দেই।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, গ্রেপ্তার আসামি ডিসি ও ওসির পরিচিত লোক বলে টাকা দাবি করেছিল। স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশকে জানায়। আমরা তাকে জনতার হাত থেকে আটক করি। তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় রেজাউল করিম একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছি। অপর পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে এর আগেও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।