পুলিশের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

লোগো
লোগো  © সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তবে  বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন তারা। 

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে স্বাক্ষর করেন জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি।

বরখাস্ত হওয়া বাকি দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান ও নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। আবুল হাসনাত খান সর্বশেষ সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন। আর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নীলফামারী ইন–সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমানে ওএসডি হিসেবে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা হয়। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার করে ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে সোপর্দ করেন। মো. শহিদুল্লাহকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানের বিরুদ্ধে ফকিরহাট থানার মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর আদালত তাকে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। সেহেতু, আবুল হাসনাত খানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

অন্য প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নীলফামারী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানার মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেহেতু, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী গত ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।


সর্বশেষ সংবাদ