নাটোরে শিশু ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের যাবজ্জীবন

শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড  © সংগৃহীত

নাটোরে ছয় বছর আগে এক শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের দায়ে প্রাইভেট শিক্ষক হযরত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় যা ভুক্তভোগীকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হযরত আলী বাগরুম মহল্লার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের মিয়া জানান, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই বিকেলে ভুক্তভোগী শিশু প্রাইভেট পড়তে স্কুলে যায়। প্রাইভেট পড়া শেষে অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে ওই শিশুকে প্রশ্ন দেখিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন হযরত আলী। পরে ঘটনাটি কাউকে জানালে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবেন এবং হত্যার হুমকি দেয়। পরে ১২ জুলাই শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ঘটনা জানতে পারে পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা শিক্ষক হযরত আলীকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে এবং শিক্ষক হযরত আলীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৬ বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক হযরত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। রায়ে উল্লেখ করা হয় জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগী শিশু পাবে।


সর্বশেষ সংবাদ