সিলেট ও শরীয়তপুরে আরও তিন মাজার ভাঙচুর

শাহ সুফি আবদুল কাইউম চিশতিয়ার মাজার ভাঙচুরের দৃশ্য
শাহ সুফি আবদুল কাইউম চিশতিয়ার মাজার ভাঙচুরের দৃশ্য  © সংগৃহীত

সিলেট শহরতলির খাদিমপাড়ায় একটি এবং শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় দুটি মাজার ভাঙচুর করা হয়েছে। শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর দিনের বিভিন্ন সময়ে তিনটি মাজার ভাঙার ঘটনাগুলো ঘটে। 

শরীয়তপুরের দুটি মাজারের মধ্যে একটি মাজারে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জাজিরার বিলাশপুর ইউনিয়নের মেহের আলী মাদবরকান্দি গ্রামে অবস্থিত ফকির করিম শাহ মাজার (আরশেদ পাগলার মাজার) ও নড়িয়ার মোক্তারেরচর ইউনিয়নের পোড়াগাছা গ্রামে অবস্থিত মজিদিয়া দরবার শরিফ মাজারে (শালু শাহ মাজার) এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ১৫ বছর আগে  ফকির করিম শাহের নামে গড়ে তোলা আরশেদ পাগলার মাজারে জুমার নামাজের পর ওই এলাকার সাত-আট শ লোক জড়ো হয়ে মাজারে হামলা করেন। এরপর মাজারের স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করেন তাঁরা। ২০-২৫ বছর আগে গড়ে ওঠা শালু শাহর মাজারেও জুমার নামাজের পর স্থানীয় ২৫০–৩০০ ব্যক্তি জড়ো হয়ে মাজারটিতে ভাঙচুর চালান।

অন্যদিকে সিলেটে  শাহ সুফি আবদুল কাইউম চিশতিয়ার মাজার ভাঙার প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন গণমাধ্যমকে বলেন, ফজরের নামাজের পর ‘তৌহিদি জনতা’ পরিচয়ে মাজার, মাজারের দেয়াল ও কবর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় মাজারের প্রবেশমুখে মৌলানা শাহ সুফি আব্দুল কাইউম চিশতিয়া জালালাবাদী (রহ.) মাজার শরিফ লেখা সাইনবোর্ডও ভেঙে ফেলা হয়। কবরের ওপরে টাঙানো লাল কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। কয়েকজন এ ঘটনা দেখলেও ভয়ে সামনে যাননি।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাজার ভাঙার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়। 

আরও পড়ুন: মাজার ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা রক্ষার নির্দেশ 

শাহ সুফি আব্দুল কাইউম চিশতিয়ার নাতি মো. আবদুল বাকী চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, তার দাদার ভক্তরা কবরটিকে মাজার করে গড়ে তুললেও তারা এটিকে পারিবারিক কবরস্থান হিসেবেই দেখেন। এখানে একাধিক কবর রয়েছে তার পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের। পাশের একটি ঘর দেখিয়ে তিনি বলেন, এখানে দাদার ভক্তরা থাকেন। মাজারে কোনো খাদেম নেই, ভক্তরাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে মাজারে থাকেন। 

 


সর্বশেষ সংবাদ