ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার মসজিদে ফতোয়া নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ

  © সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের ভেতরে নামাজের ফতোয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মসজিদের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন।  

শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চর চারতলা মোল্লাবাড়ি ও কিছকি বাড়ি গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। শনিবার (০৬ এপ্রিল) বিকালে বিষয়টি জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চর চারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে ইমামতি করেন মোল্লাবাড়ির নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা। শুক্রবার এশা ও তারাবিহ নামাজ শেষে ইমামের অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু ফতোয়া সম্পর্কে মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান। এ নিয়ে মুসল্লিদের দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। নামাজ শেষে মসজিদের বাইরে এসে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।

এ ব্যাপারে মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, তারাবিহ নামাজ শেষে কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান দুই মিনিট কথা বলতে আমার অনুমতি চাইলে আমি তাকে অনুমতি দেই। তিনি তার বক্তৃতায় এ মসজিদের কোনো মুসল্লিরই নামাজ হয় না বলে ফতুয়া দিলে উপস্থিত মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করে। এতে শফিকুল ইসলামের বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদসহ আমাদের বাড়ির লোকজনের উপর হামলা করে। এসময় আমাদের বাড়ির ৫ জন আহত হয়।

মুসল্লি ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা স্থানীয় একটি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। মাদ্রাসার নামকরণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার মসজিদে মাসআলা সংক্রান্ত বিষয়টি একটি অজুহাতমাত্র। এ নিয়ে মূলত দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। 

এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান আশুগঞ্জ থানার ওসি নাহিদ আহম্মেদ। ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষ থামাতে ৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ