ট্রেনে আগুনের পর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেকে হাসপাতালে খুঁজছেন বাবা

ছেলে আবু তালহার ছবি হাতে বাবা আবদুল হক
ছেলে আবু তালহার ছবি হাতে বাবা আবদুল হক  © সংগৃহীত

বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকা অবস্থায় ছেলে আবু তালহার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছিল বাবার। ছেলে বলেছিলেন, ‘আব্বু, দেড় ঘণ্টার মতো লাগবে। ঢাকায় পৌঁছে ফোন দেব।’ পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রেনে আগুন লাগার খবর পান বাবা। তখন থেকেই  আবদুল হক তার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছেন না।

রাতেই ঢাকায় এসেছেন বেসরকারি ওষুধ প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবদুল হক। মোবাইল ফোনে ছেলের ছবি নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন। আজও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গের সামনে ছিলেন তিনি।

দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় আবু তালহা (২৪)। সৈয়দপুরের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। বিএসসি পড়ছেন মেকানিক্যাল প্রকৌশল বিভাগে।

আরো পড়ুন: বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন, খোঁজ মিলছে না এশিয়া প্যাসিফিকের চন্দ্রিমার

আবদুল হক বলেন, ঢাকা হয়ে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন তালহা। ফরিদপুর থেকে সন্ধ্যায় ছেলেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেন। আসন ছিল ‘চ’ বগিতে। রাতে টেলিভিশনের খবর জানায়, ট্রেনে আগুন লেগেছে।

এ সময় মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পান। তখনই রওনা দিয়ে রাতে ঢাকায় পৌঁছান তিনি। এরপর ঢাকা ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে খুঁজেও ছেলেকে পাননি।


সর্বশেষ সংবাদ