গুজব ছাড়ানোর অভিযোগে রাতে ঢাকায় গ্রেপ্তার ৪

বুয়েট শিক্ষার্থী মো. দাঈয়ান নাফিস প্রধানকে পুলিশের হাতে তুলে দেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
বুয়েট শিক্ষার্থী মো. দাঈয়ান নাফিস প্রধানকে পুলিশের হাতে তুলে দেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।  © সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে সহিংসতায় উষ্কানি দেওয়ার অভিযোগে গতরাতে ঢাকায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  এরমধ্যে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তিমূলক লেখালেখি এবং আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক ছাত্রকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্রলীগ। অন্যরা পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতরাত ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে করে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা বুয়েট শিক্ষার্থী মো. দাঈয়ান নাফিস প্রধানকে মারধর করে পুলিশের কাছে তুলে দেন। দাঈয়ানকে সাথে নিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। যেখানে দাঈয়ানকে মিথ্যে প্রোপাগান্ডার সাথে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত করেন রাব্বানী। এ ধরনের কাজে যারা জড়িত তাদের সবাইকে খুঁজে বের করা হবে বলেও জানান তিনি। দাঈয়ান নাফিস বুয়েটের ১৫তম ব্যাচের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী।

চকবাজার থানার ওসি (অপারেশন) ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান জানিয়েছেন, এক শিক্ষার্থীকে আন্দোলন নিয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে থানায় সোপর্দ করা হয়। বিষয়টি তদন্তে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এদিকে গতরাত ০৮ টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন উষ্কে দিতে ফেসবুক এ গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডিসি, সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ এর আদেশে এডিসি নাজমুল ইসলাম এই অভিযান পরিচালনা করেন। গ্হরেফতারকৃত হলেন- তৌহিদুল ইসলাম তুষার(২৪), পিতা- আব্দুর রাজ্জাক; মো: ওয়ালিউল্লাহ (২৮), পিতা- সাইফুল ইসলাম এবং ইহসান উদ্দিন ইফাজ (১৮), পিতা- সৈয়ত নূরুল আলম। তাদেরকে রমনা থানার ০৫/০৮/২০১৮ তারিখের ৮ নং মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ, মেমরি চিপ সহ ফেসবুক আই ডি ও গ্রুপ সমুহ জব্দ করা হয়। এদের বিরুদ্ধে মহানগর মুখ্য হাকিমের কাছে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে রমনা থানার অপর এক মামলায় মাহবুবুর রহমান আরমান (৩০), আলমগীর হোসেইন (২৭) ও সাইদুল ইসলাম (৩১) পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে গুরত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!